বাংলা হান্ট ডেস্ক : আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে রয়েছে উপনির্বাচন। যার মধ্যে অন্যতম কোচবিহারের সিতাই বিধানসভা কেন্দ্র। আসন্ন এই উপনির্বাচনের মুখেই এবার হাওয়া গরম হয়ে উঠেছে কোচবিহারের। নির্বাচনী আবহেই একে অপরের দিকে কাদা ছোঁড়াছুড়িতে ব্যস্ত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) দুই নেতা।
মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ রাজবংশী তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার
একদিকে রয়েছেন দলের রাজবংশী নেতা বংশীবদন বর্মন। অন্যদিকে রয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। কড়া ভাষায় একে অপরকে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ শানাচ্ছেন এই দুই তৃণমূল (Trinamool Congress) পন্থী নেতা। একদিকে উদয়নপন্থীদের বিরুদ্ধে বংশীবদন বর্মনের অভিযোগ আবাস যোজনা থেকে কাঠমানি তোলেন এই মন্ত্রী।
অন্যদিকে উদয়নপন্থীদের দাবি রাজবংশী স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ করার বিনিময়ে টাকা তোলেন বংশীবদন। সব মিলিয়ে উপ নির্বাচনের আগেও কোচবিহার ধরা পড়ল তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠী কোন্দলের সেই চেনা ছবি। এদিকে দলের দুই নেতার বিবাদ চরমে উঠলেও এবিষয়ে মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই রাজবংশী নেতা বংশীবদন বর্মন সরাসরি নাম নিয়েই দাবি করেছিলেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা। তিনি বলেন দলের লোক যদি ঘরের টাকা খেয়ে থাকে, তাহলে উদয়নও তো দলের লোক। উনি তো দলের বাইরে নন। তাহলে উনি নিজেও এর সঙ্গে যুক্ত আছেন, জড়িত আছেন। মন্ত্রী প্রশ্রয় দেন দেখেই তো এসব হচ্ছে। যার দলের নীচুতলার লোকেরা-কর্মীরা ঘরের টাকা খাচ্ছে, তাহলে সেও তো খাচ্ছে। ফলে টাকা খেয়ে দলীয় নীচুতলার কর্মীরা যদি অপরাধী হয়, তাহলে একই দোষে তিনিও তো অপরাধী। এতে অবশ্যই ওঁর সায় আছে।’
আরও পড়ুন : মা হয়ে ছেলে-বৌমাকে খুন! নেপথ্য কাহিনী হার মানাবে সিনেমার চিত্রনাট্যকেও
যদিও পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেননি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহও। সুর চড়িয়েছিলেন তিনিও। রাজবংশী নেতার বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, ‘বাজারে বংশীবদনের কথার কোনও দাম নেই। আমি কার কাছ থেকে টাকা নিই, কী করি, লোকে সেটা সব জানে। সেজন্য ও কী বলল না বলল কিচ্ছু যায় আসে না। আমার সম্পর্কে যা জানার দিনহাটার মানুষ সব জানেন। খবরের শিরোনামে আসার জন্য ও এসব করে।’
একই সুর উদয়নপন্থীদের গলাতেও। তাঁদের দাবি, ভোট এলেই বংশীবদন দলের ক্ষতি করার কাজে নেমে পড়েন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজবংশীদের উন্নয়নের জন্য যে ২০০টি স্কুল তৈরি করেছেন সেখানে শিক্ষক নিয়োগ করে টাকা তুলেছেন বংশীবদন।’