বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের পর থেকেই টালমাটাল কংগ্রেস শিবির। কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে রাহুল গান্ধীর ইস্তফার পর গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে কংগ্রেসের সভাপতিরা একের পর এক ইস্তফা দিয়েছিলেন। আবার কংগ্রেস এখন নতুন সভাপতি খোঁজ করতে গিয়েও চরম সমস্যার সন্মুখিন হচ্ছেন। কেউ কেউ চাইছেন গান্ধী পরিবার থেকেই কংগ্রেসের সভাপতি হোক। আবার কেউ কেউ চাইছে এবার আর গান্ধী-নেহেরু পরিবার না। অন্য কেউ কংগ্রেসের সভাপতি হোক।
কংগ্রেসের অন্দরে নতুন সভাপতি নিয়ে চরম সঙ্কট। অনেক কংগ্রেসীরাই রাহুল গান্ধীকে আবার কংগ্রেসের সভাপতি পদে দেখতে চাইছেন। আবার কেউ কেউ রাহুল গান্ধীর বোন তথা জমি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রবার্ট ভঢড়ার স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে কংগ্রেসের নতুন সভাপতি বানাতে চাইছেন। তবে গান্ধী পরিবার থেকে আর কেউই সভাপতি হওয়ার জন্য এগিয়ে আসছেন না।
এত সঙ্কটের পর, এবার আরও একটি সঙ্কটের সন্মুখিন কংগ্রেস। লোকসভায় বিরোধী দলের তকমা হারানর পর, এবার রাজ্যসভাতেও আসতে আসতে জমি হারাচ্ছে কংগ্রেস দল। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং এবার দল থেকে ইস্তফা দিয়ে দিলেন। তিনি গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। শোনা যাচ্ছে যে, তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।
Congress Rajya Sabha MP, Sanjay Singh resigns from the party. (file pic) pic.twitter.com/bONYlWK4ts
— ANI (@ANI) July 30, 2019
সঞ্জয় সিং অসম থেকে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ। ১৯৮০ সালে যখন নেহেরু-গান্ধী পরিবারের সদস্য আমেঠি থেকে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন সঞ্জয় সিং সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে সঞ্জয় গান্ধীকে সমর্থন করেছিলেন। উত্তর প্রদেশের আমেঠিতে নেহেরু আর গান্ধী পরিবারের অনেক পুরনো সম্পর্ক।
তখন আমেঠির পাশের লোকসভা আসন রায়বেরালি থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নির্বাচনে লড়তেন। প্রথমে সঞ্জয় গান্ধী আমেঠি থেকে লড়লেও, পরে সেই আসন থেকে রাহুল গান্ধীর বাবা তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী নির্বাচনে লড়েছিলেন। আর ওনার পর রাহুল গান্ধী ওই আসন থেকে নির্বাচনে লড়েন। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান তিনি।