বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিগত ৮০ দিন ধরে দিল্লীর সীমান্তে কৃষকরা প্রদর্শন করে চলেছে। কৃষক নেতারা এই আন্দোলনকে আরও বড় করতে নতুন রণনীতি তৈরি করেছে। শনিবার ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের রাষ্ট্রীয় মুখপাত্র রাকেশ টিকাইত নতুন রণনীতি নিয়ে কয়েকটি ঘোষণা করেন।
টিকাইত বলেন, ‘কৃষক আন্দোলন হচ্ছে আর আগামী দিনেও হবে। গরম হোক আর বর্ষা, কৃষক আন্দোলন থামবে না। গরমের দিনে বর্ডারে জেনারেটর নিয়ে আসা হবে। যেভাবে গ্রাম থেকে জল আসছে, সেভাবেই ডিজেল আনা হবে। বর্ডারে কৃষকরা AC আর কুলারে থাকবেন। সরকার আমদের বিদ্যুতের লাইন দিলে ভালো, নাহলে আমরা নিজেরাই জেনারেটর নিয়ে আসব। সরকার কৃষকদের রাস্তায় যেই পেরেক পুঁতেছে, সেগুলো তুলেই যাব। আমরা দিল্লীর অতিথি। আসব, যাব আর চাষাবাসও করব। সরকার কিছু বললে, আমাদের সংযুক্ত মোর্চাও বলবে।”
বলে রাখি, শনিবার গাজীপুর বর্ডারে সংযুক্ত কৃষক মোর্চার নেত্রী তথা মহত্মা গান্ধীর নাতনী তারা গান্ধী ভট্টাচার্যও কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। রাকেশ টিকাইত বলেন, ‘আমরা খুব শীঘ্রই ৮ থেকে ১০ টি প্রশ্ন তৈরি করে সবাইকে দিয়ে দেব, যখন এঁরা ভোট চাইতে যাবে তখন তাঁদের কাছে এই প্রশ্ন করা হবে। মহারাষ্ট্র, গুজরাট আর পশ্চিমবঙ্গেও বৈঠক করব। সেখানকার সরকার কি করছে, সেটাও জানব।”
টিকাইত বলেন, নিজেদের ট্রাক্টর-ট্রলি মজবুত রাখবেন, এই আন্দোলন দীর্ঘদিন চলবে। আন্দোলন আর নিজের চাষাবাস দুই দিকেই নজর রাখতে হবে। খুব শীঘ্রই মুজফরনগরে একটি বড় পঞ্চায়েত হবে, সেখানে খাপ পঞ্চায়েতের তরফ থেকে সম্পূর্ণ বন্দোবস্ত করা হবে। এই পঞ্চায়েতে পাঞ্জাবিদের লঙ্গর নিয়ে আসতে হবে না, আমরাই সব ব্যবস্থা করে নেব।