বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকাল ছিল রাখি বন্ধন উৎসব (Raksha Bandhan)। গোটা দেশজুড়ে অত্যন্ত সমারহের সাথে পালিত হয়েছে রাখি বন্ধন। রাখি বন্ধন উৎসবে দিদি বা বোনেরা সাধারণত রাখি বাঁধেন দাদা বা ভাইয়ের হাতে। তবে জানেন গত কয়েক’শ বছর ধরে রাখি বন্ধন উৎসব পালিত করা হয় না উত্তর প্রদেশের (Uttarpradesh) সম্ভাল জেলার একটি গ্রামে।
রাখি বন্ধনে (Raksha Bandhan) নিষেধাজ্ঞা
এর পিছনের কারণ জানলে নির্ঘাত আপনি অবাক হয়ে যাবেন। গোটা দেশজুড়ে যেদিন রাখি বন্ধন (Raksha Bandhan) উৎসব পালিত হয়, সেদিন রাখি বন্ধনের উৎসবে গা ভাসান না সম্ভাল জেলার বেণীপুর চক গ্রামের বাসিন্দারা। তবে এর পিছনে রয়েছে একটি অদ্ভুত কারণ। রাখি বন্ধন উৎসবে যদি বোন এমন কোনও উপহার চান যা দাদা বা ভাই দিতে না পারেন, তাহলে কী হবে?
আরোও পড়ুন : অনেক তো হল! এবার বড়সড় ‘ডেডলাইন’ দিল ছাত্র সমাজ! শেষমেশ কি তাহলে পদত্যাগ করবেন মমতা?
এই ভয় থেকেই গ্রামে পালিত হয় না রাখি বন্ধন উৎসব। বেণীপুর গ্রামের এক বাসিন্দা রাজবীর জানান, এই গ্রামে রাখি বন্ধন উৎসব (Raksha Bandhan) পালন না করার ইতিহাস বহু পুরনো। এই ধারা মেনে আসছেন প্রজন্মের পর প্রজন্মের মানুষ। আলিগড়ের সিমরাই গ্রামের অতরৌলি তেহসিলের বাসিন্দা রাজবীর।
আরোও পড়ুন : বাবা লোকনাথও জন্মেছিলেন জন্মাষ্টমীতেই! জানেন আসলে কে এই মহাপুরুষ?শিব নাকি কৃষ্ণের অবতার?
অনেক বছর আগে কোনও পুত্র সন্তান ছিল না অতরৌলি গ্রামের ঠাকুর পরিবারে। এই পরিবারে শুধুমাত্র কন্যা সন্তান ছিল। সেই সময় ঠাকুর পরিবারের কন্যারা রাখি বাঁধতেন যাদব পরিবারের ছেলেদের হাতে। রাজবীর এই যাদব পরিবারেরই বংশধর। বোনের দাবি পূরণ করতে যাদব পরিবারের সেই পুত্র সন্তান গ্রাম ছেড়ে দেন।
রাজবীর জানান, ঠাকুর পরিবারের মেয়েরা একবার যাদব পরিবারের ছেলেদের হাতে রাখি পরিয়ে মজার ছলে তাদের পূর্বপুরুষের সম্পত্তি উপহার হিসাবে দাবি করেন। যদিও পরবর্তীকালে ঠাকুর পরিবারের সদস্যরা বলেন যে এটা নিছকই মজা ছিল। তবে সেই ছেলেটি নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে সম্ভালে গিয়ে থাকতে শুরু করে।
রাজবীর আরো বলেন, বাকিয়া যাদব পরিবারের গোত্র তাদের। দেশের যেকোনো প্রান্তে বসবাসকারী এই গোত্রের মানুষেরা অংশগ্রহণ করেন না রাখি বন্ধন উৎসবে (Raksha Bandhan)। কয়েক’শ বছর ধরে চলে আসছে এই রীতি। তাদের বিশ্বাস এই রীতি যদি না মানা হয় তাহলে ঘটে যেতে পারে অমঙ্গলজনক কোনো ঘটনা।