বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচনের আবহেই বাংলা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের (Rameshwaram Cafe Blast) দুই মূল হোতা। শুক্রবার কাঁথি থেকে গ্রেফতার হন সন্দেহভোজন দুই আইএসআইএস জঙ্গি। ধৃতদের নাম আব্দুল মাতিন ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন সাজিব। জানা যাচ্ছে, ভুয়ো পরিচয়ে কলকাতার (Kolkata) একটি হোটেলেও ছিলেন তাঁরা।
শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। আগামী মঙ্গলবার রাজ্যে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ (Lok Sabha Election 2024)। এসবের মাঝেই গতকাল বাংলা থেকে গ্রেফতার করা হয় রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের দুই মূল অভিযুক্তকে। এনআইএ-র (National Investigation Agency) তরফ থেকে আগেই তাঁদের ‘ওয়ান্টেড’ ঘোষণা করা হয়েছিল। একইসঙ্গে বলা হয়েছিল, তাঁদের খোঁজ দিতে পারলে মিলবে মোটা টাকা ‘পুরস্কার’। কত ছিল সেই অঙ্কটা?
এনআইএ-র (NIA) তরফ থেকে জারি করা নোটিশে বলা হয়েছিল, ওয়ান্টেড জঙ্গির নাম আব্দুল মাতিন ত্বহা (Abdul Matheen Taha)। একইসঙ্গে বলা হয়েছিল, সে সুমিত, ভিগ্নেশ সহ নানান হিন্দু নামও ব্যবহার করে। বয়স ৩০। জিন্স, টি শার্ট, হুডি আর মাথায় টুপি, মূলত এভাবেই দেখা যায় তাঁকে। ভিগ্নেশ নামে একটি ভুয়ো আধার কার্ডও রয়েছে তাঁর। ত্বহার খবর দিতে পারলে ১০ লক্ষের পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
আরও পড়ুনঃ সর্বহারা বালু! রেশন দুর্নীতির তদন্তের মাঝেই জ্যোতিপ্ৰিয়র জীবনে ঘোর দুঃসংবাদ
অন্যদিকে মুসাভির হুসেন সাজিবের (Mussavir Hussain Shazib) ক্ষেত্রেও নোটিশ জারি করেছিল এনআইএ। মহম্মদ জুনেদ হুসেন, শাজেদ, মহম্মদ জুনেদ সৈয়দের মতো নামও সে ব্যবহার করতো। জিম করা ফর্সা চেহারা। জিন্স, টি শার্টেই মূলত দেখা যেত তাঁকে। সে ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যবহার করে বলেও উল্লেখ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
পিজি, ছেলেদের হস্টেল কিংবা স্বল্প ভাড়ার হোটেল অথবা লজে সাজিব থাকতে পারে বলে জানিয়েছিল এনআইএ। ত্বহার মতো সাজিবের খোঁজ দিতে পারলেও ১০ লক্ষের পুরস্কার ঘোষণা করেছিল উক্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
এদিকে শুক্রবার বাংলা থেকে গ্রেফতার হয়েছে এই দুই সন্দেহভোজন জঙ্গি। এরপরেই মাথাচাড়া দিয়েছে একাধিক প্রশ্ন। এতদিন ধরে দুই ওয়ান্টেড ‘জঙ্গি’ রাজ্যে গা ঢাকা দিয়ে ছিল, কিন্তু পুলিশ টেরও পেল না? গত ১৩ মার্চ কলকাতা লেনিন সরণির একটি হোটেলেও আশ্রয় নিয়েছিল ত্বহা এবং সাজিব। ট্যুরিস্ট পরিচয়ে সেখানে উঠেছিল তাঁরা। হোটেলের রেজিস্টারে দেখা গিয়েছে, দ্বিতীয় নামের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ নাম লিখেও কেটে দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, যে নামটি কেটে দেওয়া হয়েছে সেটিও ব্যবহার করতো ওই জঙ্গি। তাই প্রথমে ওই নামটি লিখলেও পরে কোনও কারণবশত অন্য নাম লেখে।