বাংলাহান্ট ডেস্ক : রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে(Rampurhat Murder case) প্রতিদিনই সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নতুন নতুন রহস্যের পর্দা সরছে প্রতি মুহুর্তে। ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে সরব বিরোধীরা। এবার সেই পুলিশের দিকেই আঙুল উঠল আরও একবার। সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে সম্প্রতি নয়, বরং এক বছর আগে থেকেই দুষ্কৃতিদের লক্ষ্যে ছিলেন ভাদু শেখ। তখন পুলিশের সাহায্যও চেয়েছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। কিন্তু কার্যতই পুলিশের গাফিলতিতে তখ৷ মেলেনি সুরাহা। তার জেরেই কি একবছর পর এত ভয়াবহ রূপ নিল এই ঘটনা? উঠছে প্রশ্ন।
গত বছর খুন হন ভাদু শেখের দাদা বাবর শেখ। জানা যায় তখন বারব নন, আসল টার্গেট ছিলেন ভাদুই। সেই সময়ই প্রাণহানির আশঙ্কা করে পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ। পলাশ শেখ, সোনা শেখরা ভাদুকে মারার পরিকল্পনা করছে তদন্তে এই তথ্য সামনে আসার পরই ভাদুকে পুলিশি নিরপত্তা দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়। ভাদুর নিরাপত্তার জন্য একজন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা আধিকারিক মোতায়েনের সুপারিশ করে গত বছর ১৪ জুন বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে চিঠি দেন এসডিপিও। কিন্তু বিষয়টিতে আমল দেওয়া হয়নি পুলিশের ওপর মহল থেকে।
এখন প্রশ্ন উঠছে, তখনই যদি ভাদু শেখকে নিরাপত্তা দেওয়া হত তাহলে কি এতগুলি হত্যালীলা এড়ানো যেত না? তাহলে কি রুখে দেওয়া যেত না ঘটনার এই ভয়াবহতা? প্রাণ বাঁচানো যেত না ১০ জনের? তাহলে খোদ পুলিশের সুপারিশ থাকা সত্ত্বেও কেন বিষয়টিকে এত হালকা ভাবে নিল উপরমহল? এর পিছনে কি শুধুই নীচু স্তরের গাফিলতি নাকি জড়িয়ে রয়েছেন পুলিশের বড় কর্তারাও? কোনও বিশেষ কারণ কি কাজ করেছিল এই গাফিলতির পিছনে? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে জাতীয় সড়কের উপর বোমা মেরে খুন করা হয় তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। এরপরও এলাকায় মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেই রাতেই হত্যালীলা চলে বাগটুই গ্রামে। সেদিন রাতেও কেন সক্রিয়তা দেখায়নি পুলিশ? গ্রামে অত পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও কীকরে ঘটা সম্ভব এহেন গণহত্যা? এই উত্তর এখনও অবধি নেই খোদ স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছেও।