বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্পষ্টবাদী স্বভাবের জন্য ইতিমধ্যেই বেশ নাম কুড়িয়েছেন প্রযোজক রানা সরকার (Rana Sarkar)। অনেকে তাঁকে বাংলার ‘কঙ্গনা রানাওয়াতের পুরুষ সংষ্করণ’এরও তকমা দিয়েছেন। কারণ নিজের ইন্ডাস্ট্রিরই অভিনেতা অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে বলতে দুবার ভাবেন না তিনি। ফলতঃ বহুবার বিতর্কেও জড়িয়েছেন রানা সরকার।
অতি সম্প্রতি দুটি নতুন মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবি ‘কাছের মানুষ’ এবং ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’ এর ব্যবসার তুলনা করে বিতর্ক বাঁধিয়েছিলেন তিনি। নাম না করে কটাক্ষ ছুঁড়েছিলেন দেব এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের দিকে। এমনকি এও বলেছিলেন, এখন নতুন প্রজন্মের সুপারস্টার হলেন আবির চট্টোপাধ্যায়, জিতু কামালরা।
এরপরেই হঠাৎ করে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে উধাও প্রযোজক। রবিবার সকালে যদিও আবার ফেসবুকে দেখা মিলেছে তাঁর। কী হয়েছিল রানা সরকারের? সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি জানান, তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট নাকি হ্যাক করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। তাই সাময়িক ভাবে বন্ধ রেখেছিলেন অ্যাকাউন্টগুলি।
কিন্তু কেউ কেন তাঁর অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা করবে? রানা সরকারের সন্দেহ, দেবের ‘কাছের মানুষ’ ফ্লপ হয়েছে বলায় অভিনেতার ভক্তরাই নাকি ক্ষেপে গিয়ে অভিযোগ করেছেন। যদিও তাঁর এই সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো প্রমাণ এখনো মেলেনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো অভিনেতা বা ছবির নাম না করেই তিনি লিখেছিলেন, ‘১. চার কোটি হয়ে গেছে, ২. পঞ্চাশ লাখ হয়ে গেছে। পরের বার আরো ভালো হোক। শুভ বিজয়া’। এরপর আরো একটি লম্বা চওড়া পোস্টে রানা লিখেছেন, ‘বাংলা সিনেমার গত এক বছরের হিট বা সুপারহিটের ট্রেন্ড থেকে বোঝা যাচ্ছে তথাকথিত সুপারস্টারদের বক্সঅফিসে আর বিক্রি নেই।’
নাম না করে কটাক্ষও করেছিলেন প্রসেনজিৎকে, ‘আরেকজন যিনি নিজেই ইন্ডাস্ট্রি তার শেষ হিট ২০১৯ সালের গুমনামী যেটা সৃজিত মুখার্জির ছবি, তারপর সব ফ্লপ। সঙ্গে তিনি আরো দাবি করেছিলেন, টনিক, কিশমিশ বা রাবণের বক্স অফিস সংগ্রহের হিসাব নাকি একদমই সত্যি না। তিনটি ছবির লাইফটাইম বক্সঅফিস কালেকশন নাকি আড়াই কোটিই ছাড়ায়নি!