বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষমতা কতটা তা প্রমাণ হয়ে গেল আবারও। নেটিজেনদের প্রচেষ্টায় বহুমূল্যের ইঞ্জেকশন পেল বিরল জিনঘটিত রোগাক্রান্ত শিশু অস্মিকা দাস (Ashmika Das)। স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি রোগে আক্রান্ত ছোট্ট অস্মিকা। ওষুধ শুধুমাত্র একটি ইঞ্জেকশন। কিন্তু তার দাম আকাশছোঁয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের ক্রাউড ফান্ডিংয়ের জোরে শেষমেশ সেই ইঞ্জেকশন পেল ছোট্ট অস্মিকা (Ashmika Das)। আপ্লুত বাবা মা।
বিরল রোগের ইঞ্জেকশন পেল রানাঘাটের অস্মিকা (Ashmika Das)
স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি বা এসএমএ টাইপ ১। বিরল জিনঘটিত এই রোগে আক্রান্ত রাণাঘাটের ছোট্ট অস্মিকা (Ashmika Das)। মাত্র ১৭ বছরের শিশুটিকে সুস্থ করতে প্রয়োজন ছিল জোলজেনসমা ইঞ্জেকশনের। কিন্তু এই একটি ইঞ্জেকশনের দামই ১৬ কোটি টাকা! মেয়েকে বাঁচাতে মরিয়া বাবা মা শুরু করেছিলেন ক্রাউড ফান্ডিং। ধীরে ধীরে এই রোগের সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ে মানুষের মধ্যে। ছোট্ট অস্মিকার পাশে এসে দাঁড়ায় সাধারণ মানুষ থেকে তারকারাও।
বুধবার ওষুধ পেল অস্মিকা: দীর্ঘ ১১ মাসের লড়াই। বিন্দুতে বিন্দুতেই শেষমেশ তৈরি হল সিন্ধু। প্রথম কিস্তির ৯ কোটি টাকা জোগাড় হওয়ায় ইঞ্জেকশন পেল অস্মিকা (Ashmika Das)। বুধবার কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শিশু চিকিৎসক সংযুক্তা দে-র তত্ত্বাবধানে সেই ইঞ্জেকশন দেওয়া হল শিশুকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জিন থেরাপি এককালীনই দিতে হয়। ইঞ্জেকশন পাওয়ার পর স্থিতিশীল রয়েছে অস্মিকা (Ashmika Das)। চিকিৎসক বলেন, আগে শিশুদের এই ধরণের রোগ চিহ্নিত করা যেত না। এখন ধীরে ধীরে তা সম্ভব হচ্ছে। এই ওষুধগুলো বাইরে থেকে আনানো শুরু করার সময় বিরল রোগ নীতি ছিল না। নতুন নিয়ম শুরু হওয়ার পর থেকে কিছু পোর্টালের মাধ্যমে ওরাল মেডিসিন পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
আরো পড়ুন : পরেশ রাওয়ালই ফিরছেন শেষমেষ? ‘হেরা ফেরি ৩’ নিয়ে আশার কথা শোনালেন অক্ষয়
ক্রাউড ফান্ডিংয়েই উঠে এল অর্থ: এই ধরণের রোগের ওষুধ সবই ব্যয়বহুল। ভারতে এমন ওষুধ তৈরি হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেন চিকিৎসক। অস্মিকার (Ashmika Das) বাবা জানান, মেয়ের ৬ মাস বয়সেই প্রথম ধরা পড়ে এই রোগ। তিনি প্রথমে চেষ্টা করেছিলেন যাতে বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যায়। তা সম্ভব হয়নি। আর ১৯ কোটি টাকা মূল্যের ইঞ্জেকশন কেনাও সম্ভব নয় তাঁদের পক্ষে। তাই শুরু করেছিলেন ক্রাউড ফান্ডিং।
আরো পড়ুন : নদীয়া কালীগঞ্জ বিধানসভায় শুরু উপনির্বাচন, ভোটগ্রহণের আগেই TMC-র বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ BJP-র
প্রথম দিকে একটা টাকাও উঠত না। ধীরে ধীরে মানুষ জানতে পারলে বহু জন পাশে দাঁড়ায় অস্মিকার। অবশেষে হল অসাধ্য সাধন। রাণাঘাটের অস্মিকাকে দেখে নতুন আশা পাচ্ছেন বাঁকুড়ার সিমলাপালের ঈশান হাতি এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সোনারপুরের হৃদিকা দাসের পরিবার। হৃদিকার মা বলেন, একই রোগে আক্রান্ত তাঁর মেয়ে। ইঞ্জেকশনের জন্য এককালীন প্রয়োজন ৯ কোটি। এখনো পর্যন্ত ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা জোগাড় করতে পেরেছেন তাঁরা। হাতে আর ৬-৭ মাসই সময় রয়েছে ছোট্ট হৃদিকার।