বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে গোটা বঙ্গবাসীর উদ্দেশ্যে চমক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রশাসনিক সংগঠনে একাধিক রদবদল আনার পাশাপাশি বাংলায় মোট সাতটি নতুন জেলা গঠন করার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর থেকেই গোটা বাংলা জুড়ে একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি হয়ে চলেছে। অনেকেই যেমন জেলা ভাগের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন, তো অপরদিকে আবার অনেকে নাম পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে। বর্তমানে সেই পথেই হাঁটতে দেখা গেল রানাঘাট (Ranaghat) পুরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরদের। রানাঘাট শহরকে জেলা সদর ঘোষণা করার দাবিকে কেন্দ্র করে এই আন্দোলন সংঘটিত হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নদিয়া ভেঙে রানাঘাট নামে নতুন একটি জেলা গঠন করার ঘোষণা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বর্তমানে রানাঘাটকে নতুন জেলার সদর করা প্রসঙ্গে দাবি জানিয়েছে পুরসভার কাউন্সিলররা। যেহেতু রানাঘাট, জেলার মধ্যবর্তী একটি স্টেশন এবং পরিবহনগত দিক থেকেও এ জায়গাটি অত্যন্ত জনপ্রিয়, সে কারণেই তাদের এই দাবি বলে জানা গিয়েছে।
এদিন রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান কোশলদেব জানান, “রানাঘাট হল একটি জংশন রেলস্টেশন। এর ওপর দিয়ে জাতীয় সড়ক যাওয়ার পাশাপাশি বৃহৎ জমি রয়েছে, যেখানে খুব সহজেই গাড়ি পার্কিং করা যায়। এছাড়াও পরিবহনগত দিক থেকে এই এলাকা অত্যন্ত জনপ্রিয়। ইতিমধ্যে রানাঘাটে দুটি ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, এখানে জেলাশাসকের দপ্তর করা হলে সাধারণ মানুষের জন্য অনেকাংশে সুবিধা হবে।” সুত্রের খবর, এ সকল দাবি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে একটি রিপোর্ট পর্যন্ত জমা দিতে চলেছে তারা।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, নদিয়া ভেঙে ‘রানাঘাট’ নামে একটি নতুন জেলা তৈরি হতে চলেছে। এক্ষেত্রে, রানাঘাট এবং কল্যাণী মহকুমা নিয়েই এই নতুন জেলাটি গঠিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন, সকল কাউন্সিলরদের দাবি মেনে শেষ পর্যন্ত রানাঘাটকে জেলা সদর করা হয় কিনা, সেটাই দেখার।