বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য দুর্নীতিকে ছাপিয়ে বর্তমানে বাংলায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সকলের প্রিয় ‘ঘনা’ (Ghana)। ঘনা নামে শুয়োরের (Pig) খোঁজে এবার তৎপর হয়ে উঠল প্রশাসন। হাইকোর্টের নির্দেশের পর বর্তমানে তৎপর হয়ে উঠেছে তারা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কল্যাণী আদালত চত্বরের নিকট হতে অপহরণ করা হয় সকলের প্রিয় ‘ঘনা’-কে। অভিযোগ, এরপরে অনেকটা সময় কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত পুলিশ যে সকল পদক্ষেপ নিয়েছে, তা মোটেও সন্তোষজনক নয়। এদিন শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্ট দ্বারা এই প্রসঙ্গে পুলিশকে এক প্রকার ভর্ৎসনা করা হয়। এমনকি পুলিশি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার।
হাইকোর্টের প্রশ্ন, “ঘনাকে অপহরণের পর যখন অভিযোগ করা হয়, এর ভিত্তিতে কেন প্রিভেনশন অফ অ্যানিমেল আইনের অধীনে এফআইআর দায়ের করা হবে না? এছাড়া এতদিন কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত কেন অভিযুক্তদের পাকড়াও করা সম্ভব হয়নি?”
উল্লেখ্য, উক্ত শুয়োরটিকে যে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়, সেটির ভিডিও পাওয়া গিয়েছে। তবে সেই ভিডিওটিকে হাতিয়ার করে কেন এখনো পর্যন্ত মামলা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হলো না, সে বিষয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বিচারপতি। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্ট দ্বারা নির্দেশ দেওয়া হয়, “যে অফিসার এতদিন পর্যন্ত তদন্ত করে চলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং তা করবেন নদিয়ার পুলিশ সুপার। যত দ্রুত সম্ভব, তদন্ত শেষ করতে হবে এবং কল্যাণী আদালতকে সম্পূর্ণরূপে নিরাপত্তা দিতে হবে।”
উল্লেখ্য, সকলের প্রিয় ‘ঘনা’ আসলে একটি শুয়োর। প্রথম যখন এই খবরটি গোটা বাংলায় শিরোনামে আসে, তখন হতবাক হয়ে পড়েন অনেকেই। আসলে কল্যাণী আদালত চত্বরে বড় হয়ে উঠেছিল সে। এক্ষেত্রে ছোট থেকে বড় হওয়া মাঝে এলাকায় সকলের প্রিয় হয়ে ওঠে ওই প্রাণীটি। তবে গত মার্চ মাসে ২৫ তারিখ কয়েকজন ব্যক্তি একটি গাড়িতে করে আসে এবং ঘনাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তবে আদালতের বাইরে সিসিটিভি থাকার কারণে সম্পূর্ণ ঘটনাটি লোকচক্ষুর সামনে আসে।
পরবর্তীতে এই সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করা হয়। প্রথমে কল্যাণী আদালতে মামলা দায়ের করা হলেও পরবর্তীকালে তা কলকাতা হাইকোর্টে স্থানান্তরিত হয়। তবে শেষ পর্যন্ত ঘনাকে খুঁজে পায় কিনা, সেটাই দেখার।