বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের সম্মানীয় কাপুর পরিবারের বংশধর রণবীর কাপুর (ranbir kapoor)। বাবা, মা, দিদি, বোনেদের মতো তিনিও পা রেখেছেন অভিনয় ইন্ডাস্ট্রিতে। নয় নয় করে ১৪ বছর কাটিয়ে দিলেন তিনি বলিউডে। সঞ্জয় লীলা বনশালির (sanjay leela bansali) ‘সাওয়ারিয়া’ ছবির হাত ধরে বলিউডি সফর শুরু তাঁর। তবে তারও আগে অবশ্য সহ পরিচালক হিসাবে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা শুরু করেন তিনি।
বনশালি পরিচালিত ‘ব্ল্যাক’ ছবিতে সহ পরিচালক ছিলেন রণবীর। সম্প্রতি সেই ছবিতে কাজ করার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন তিনি। দাদু রাজ কাপুরের জীবনের উপর লেখা বই ‘রাজ কাপুর: দ্য মাস্টার অ্যাট ওয়ার্ক’ এর লঞ্চ উপলক্ষে দিল্লির এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রণবীর ও রণধীর কাপুর। তাঁদের আলোচনায় উঠে আসে কীভাবে আগেকার সময় থেকে এখনকার সময়ে ছবি তৈরির ধরন বদলেছে।
রণধীর জানান, এখন মানুষ কম সময়ে কাজ শেষ করতে পছন্দ করে। ৩০০ দিনের জায়গায় যদি ১৩ দিনে ছবি শেষ হয়ে যায় তা আরো ভাল। এ প্রসঙ্গে রণধীর জানান, ‘ববি’ ছবির শুটিংয়ের সময়ে গুলমার্গে বাড়ির ছাদগুলি রঙ করানোর ব্যবস্থা করেছিলছন রাজ কাপুর। কারণ তা দেখতে ভাল লাগছিল না।
এরপরেই রণবীর জানান, তিনি এমনটা বলছেন না যে এখনকার পরিচালকরা শুধুই টাকার পেছনে ছুটছেন। কিন্তু তিনি যখন সঞ্জয় লীলা বনশালির সহকারী হিসাবে কাজ করতেন তখন তিনি বাস্তবিকই তাঁর সঙ্গে একজন সহকারী পরিচালক হিসাবেই ব্যবহার করতেন।
রণবীরের কথায়, “ঘন্টার পর ঘন্টার হাঁটু মুড়ে বসে থাকতে হত আমাকে। উনি মারধোর করতেন, গালিগালাজ করতেন। কিন্তু এতে মন আরো শক্ত হয়। বিশ্বের সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত হওয়া যায়।” ওই অনুষ্ঠানেই রণবীর জানান, দাদু রাজ কাপুরের বায়োপিক বানানোর ইচ্ছা রয়েছে তাঁর।
প্রসঙ্গত, ব্ল্যাক ছবির কয়েক বছর পরেই বনশালি পরিচালিত সাওয়ারিয়া ছবিতে অভিনেতা হিসাবে ডেবিউ করেন রণবীর। কিন্তু সে ছবি ভাল চলেনি বক্স অফিসে। তবে তাতে অবশ্য খুব একটা ক্ষতি হয়নি ঋষি-পুত্রের। পরবর্তীকালে অভিনেতা হিসাবে ভালোই পসার হয় তাঁর বলিউডে।