বাংলা হান্ট ডেস্ক : সমাজ-রাজ্য-রাজনীতি, চারিদিকে এখন আর আরজিকরের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ মিছিল। এই ঘটনায় শুরু থেকে সরব টলিউড। জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলনে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই পথে নেমেছেন বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das)। এসবের মধ্যেই টলিপাড়ার অন্দরে উঠছে একের পর এক যৌন হেনস্তার অভিযোগ।
স্বামী স্বর্ণেন্দুকে নিয়ে গর্বিত শ্রুতি দাস (Shruti Das)
আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠছে পরিচালকদের বিরুদ্ধে কিংবা অভিনেতাদের দিকে। এরই মধ্যে স্বামী স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের উদ্দেশ্যে একটি দীর্ঘ পোস্টে আবেগপ্রবণ বার্তা লিখলেন ছোট পর্দার ‘রাঙাবউ’ অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das)। জি বাংলার সুপারহিট মেগা সিরিয়াল ত্রিনয়নীর হাত ধরেই প্রথম সম্পর্কের সূত্রপাত হয়েছিল শ্রুতি-স্বর্ণেন্দুর (Shruti-Swornendu)। এই মেগার হাত ধরেই অভিনয় জগতে প্রথম পা রেখেছিলেন শ্রুতি (Shruti Das)।
প্রথম সিরিয়ালের পরিচালকের প্রেমে পড়ে যান নবাগতা অভিনেত্রী। যদিও শুরুর দিকে তাঁর প্রেমের প্রস্তাবে একেবারেই রাজি ছিলেন না পরিচালক। কিন্তু সময়ের চাকা এমন ঘুরল যে সেই শ্রুতিই এখন স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের সহধর্মিনী। ছোট পর্দার রাঙা বউ স্বামী স্বর্ণেন্দুরর জন্মদিন উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন এক খোলা চিঠি। সেখানে তিনি জানালেন এমন একজন পরিচালকের স্ত্রী হয়ে তিনি গর্বিত। স্বামীকে ভালোবেসে ‘বাবি’ বলে ডাকেন শ্রুতি।
আরও পড়ুন : বিয়ের আগে সহবাস! এক ছেলের বাবা অগ্নিদেবকে বিয়ে করে চরম অপমানিত সুদীপা, এই জুটির বয়সের ফারাক জানেন?
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিশেষ দিনে পরিচালকের সাথে একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে নিয়ে ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আজ সেই বিশ্বাসযোগ্য ডিরেক্টর এর জন্মদিন যার কাছে এই ক্ষয়িষ্ণু সমাজে মহিলা আর্টিস্ট আর টেক্নিশিয়ান রা নিরাপদ এবং আমি গর্বিত হই এটা শুনে যে – “স্বর্ণ দা স্টুডিও না এলে,ফ্লোরে না থাকলে,শট না নিলে ভালো লাগেনা”।
এই ME TOO-র যুগে আমি জোর গলায় বলতে পারি,আমি এই ভালোমানুষ টির সহধর্মিণী,যার কাছে মহিলারা নিরাপদ।’
View this post on Instagram
এরপরেই পরিচালক মশাইকে জন্মদিনের একরাশ শুভেচ্ছা জানিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আজকাল আর তোমায় নিয়ে লেখা হয়না,কিন্তু বিশেষ বিশেষ দিনে নিজেকে আটকাতে পারিনা। বাবি,সবাই বলে আমি লোভী,তাই তোমার সাথে আছি! ওরা অন্য মানে করে বললেও একপ্রকার ঠিক ই বলে! আমি সত্যিই লোভী। অর্থলোভের থেকেও আমার বরাবর বেশী লোভ গুনী মানুষের সান্যিধ্যে থেকে তার সবটুকু ভালো শিখে নিজে সমৃদ্ধ হওয়ার!আর যেখানে সে আমার স্বামী,সেখানে আমি লোভী হওয়া খুব অস্বাভাবিক কি? মনে হয় না! তবে আজকের দিনে এটুকুই কথা দিলাম, খুব ভালোবাসি আর শেষ নিশ্বাস অবধি তোমায় নিয়ে আমি গর্ব করে জোর গলায় বলেই যাবো আর কাঁচা হাতে লিখেই যাবো।’