বাংলাহান্ট ডেস্ক: আমি সিঙ্গল আর প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করছি, সোহিনী সরকারের (Sohini Sarkar) এই একটি মাত্র স্ট্যাটাসেই কানাঘুঁষো শুরু হয়ে গিয়েছিল টেলিপাড়া সহ নেটপাড়ায়। রণজয় বিষ্ণুর (Ranojoy Bishnu) সঙ্গে বিগত ৩ বছরের সম্পর্ক নাকি ভেঙে গিয়েছে অভিনেত্রীর। তাঁর ‘সিঙ্গল’ স্ট্যাটাস সেই গুঞ্জনটাকেই মান্যতা দিচ্ছে। অন্যদিকে প্রথম থেকেই এইসব খবরের বিরোধিতা করে গিয়েছেন রণজয়। বারবার দাবি করেছেন, তাঁর ও সোহিনীর সম্পর্ক আগের মতোই আছে। কোনো বিচ্ছেদ হয়নি।
সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের হয়ে কলম ধরেও একই কথার পুনরাবৃত্তি করলেন পর্দার ‘অনুজ’। তিনি স্পষ্ট জানালেন, সোহিনী ও তাঁর মধ্যে সম্পর্ক সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। কিছুদিন ধরে এত শোরগোল দেখার পর চুপ করে থাকতে না পেরেই বিশদে মুখ খুলেছেন তিনি।
কিন্তু দুজনের মধ্যে সবকিছু যদি স্বাভাবিকই থাকে তবে অভিনেত্রীর স্ট্যাটাসটা কীসের ইঙ্গিত দিল? রণজয়ের মতে, হয়তো কোনো টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন সোহিনী। তাঁরা তারকা হলেও শেষমেষ তো আর পাঁচজনের মতো রক্ত মাংসেরই মানুষ। তাই প্রেমিকা এবং বন্ধু সোহিনীর জন্য রণজয়ের আর্জি, অভিনেত্রীকে একটু একা ছেড়ে দিতে।
রণজয় এও জানিয়েছেন, তাঁরা অনেকদিন থেকেই একে অপরের বাড়িতে মাঝে মাঝেই থাকেন। সবসময়ই যে একসঙ্গে থেকেছেন এমনটা নয়। এই মুহূর্তেও বিভিন্ন কারণে দুজনে একই ছাদের তলায় থাকতে পারছেন না। তবে সেই কারণগুলির মধ্যে বিচ্ছেদের কোনো জায়গা নেই।
ইন্ডাস্ট্রির দুই জনপ্রিয় তারকার বিচ্ছেদের গুঞ্জন মানেই অবধারিত ভাবে উঠে আসে তৃতীয় ব্যক্তির নাম। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রণজয় বলেন, তিনি এমনো শুনেছেন যে ‘গুড্ডি’ নাকি তাঁর ও সোহিনীর বিচ্ছেদের কারণ।
এই গুজব যারা ছড়াচ্ছেন তাদের উদ্দেশে অভিনেতার স্পষ্ট বার্তা, সিরিয়ালে তাঁর জীবনে দুই নারী থাকতেই পারেন। কিন্তু বাস্তব জীবনে তিনি একজনেরই। কেউ কোনোদিনই তাঁকে ‘চরিত্রের দোষ’ দিতে পারেননি। উপরন্তু মধুরিমা ও শ্যামৌপ্তি দুজনেই নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনে থিতু। তাই এই ধরনের গুজবে ওই দুই অভিনেত্রীরও সম্মানহানি হয় বলে মন্তব্য করেছেন রণজয়।