বাংলাহান্ট ডেস্ক: গানের জগৎ থেকে যতই দূরে থাকুন না কেন, লাইমলাইট রানু মণ্ডলকে (ranu mondal) ছাড়ে না। বলিউড তাঁর কাছে এখন অতীত। তবে ইউটিউবাররা প্রায়দিনই এসে উপস্থিত হয় রানুর রানাঘাটের এক চিলতে বাড়িতে। সঙ্গে নিয়ে আসে নানান খাবার ও আবদারে ভরা ঝুলি। কেউ আবদার করেন ট্রেন্ডিং গান শোনাতে আবার কেউ সোজা রানুর হাত ধরে নাচতে শুরু করে দেন।
এর আগে রানুর গলায় ‘মানিকে মাগে হিতে’, ‘কাঁচা বাদাম’ শোনা গিয়েছে। বাকি ছিল ‘কমলায় নেত্ত’। কিন্তু সেটাও আর বাদ রইল না। তবে এখানে একটা চমক দিয়েছেন রানু। ট্রেন্ডিং গানটি নিজে না গেয়ে ইউটিউবারের সঙ্গে পা মিলিয়েছেন ‘কমলা’ হয়ে।
তবে রানু মণ্ডল থাকবে আর গান থাকবে না, তা তো হয় না। ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রানুর থেকে দেশাত্মবোধক গান শোনার আর্জি জানান ইউটিউবার। তাই লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া ‘সারে জাঁহাসে আচ্ছা’ গানটি গেয়ে শোনান রানু।
দিন কয়েক আগে সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে নিজের তুলনা করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রানু। তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, তাঁকে সকলে রানাঘাটের লতা বলে। এত প্রশংসা করে। রানুর কেমন লাগে? উত্তরে রানু বলেন, “লতা মঙ্গেশকর বয়সের দিক থেকে বড়। কিন্তু আমি সম্মানে বড়। বয়সে এক নয়, কিন্তু সম্মানে এক।”
ভিডিও ভাইরাল হতে নিজ নিজ মত প্রকাশ করতে শুরু করেন নেটিজেনরা। একজন লেখেন, ‘লতাজির সঙ্গে তুলনা! এই মহিলাকে এখুনি বয়কট করা হোক।’ অনেকে আবার কটাক্ষ করেছেন, রানুর শিক্ষাদীক্ষা নেই। তাঁর মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
এমন বিতর্কিত মন্তব্য রানুর কাছে নতুন নয়। হিমেশ রেশমিয়া, সলমন খান, অরিজিৎ সিং এর সম্পর্কে আলটপকা মন্তব্য করে ট্রোল হয়েছেন তিনি। অনেকে সমালোচনা করেছে, অনেকে তাঁর পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সহানুভূতি জানিয়েছে। কিন্তু যতই ট্রোল, সমালোচনা, বিতর্ক হোক না কেন রানুকে অবহেলা করা ‘মুশকিল হি নেহি, না মুমকিন হ্যায়’!