বাংলাহান্ট ডেস্ক: এক সময়ের ‘সেলিব্রিটি’ রানু মণ্ডলের (Ranu Mondal) বাড়িতে আজ ভাত চড়ে না। মুম্বই মুখ ফিরিয়েছে আগেই। স্টেশন চত্বরের বদলে এখন তাঁর জায়গা এক ভগ্নপ্রায় বাড়িতে। দু বেলা কোনো রকমে খাবার জুটলে রাতে কী খাবেন তা নিয়ে চিন্তা ঘিরে ধরে।
অবশ্য এমন পরিস্থিতিতে রানু প্রথম না। ছোটবেলা থেকেই অভাব আর অবহেলা দেখে আসছেন তিনি। সংবাদ প্রতিদিনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রানু বলেন, “বাপ ছিল স্বার্থপর। মাকে ছেড়ে আবার বিয়ে করেছিল।” এমনকি যতদিন একসঙ্গে ছিল ততদিনও মায়ের উপরে নির্যাতন চালাতেন বলে জানান রানু।
নিজের সংসারেও সুখ পাননি। নিজের পেটের মেয়ে পালিয়ে গিয়েছে। মায়ের খোঁজ খবরও রাখে না। যখন তিনি পরিচিতি পেলেন, তখন অবশ্য মেয়ে এসেছিল। মাকে জড়িয়ে ধরে ছবিও তুলেছিল। রানু বলেন, তাঁর যখন অবস্থা ভাল হয়েছিল তখন সবাই তাঁর কাছে এসে গান্ডেপিন্ডে খেয়েছে। যেই অবস্থা খারাপ হয়েছে এক মুঠো ভাতও কেউ দেয় না।
রানুর এই দিন আনি দিন খাই অবস্থা। আর ওদিকে তাঁর নামে নিজেদের পকেট ভরার ব্যবস্থা করে নিয়েছে পাড়ার একদল দালাল। কেউ রানুর বাড়ি যাচ্ছেন শুনলেই তাদের স্পষ্ট কথা, অনুমতি ছাড়া যাওয়া যাবে না রানুর বাড়ি। অর্থাৎ টাকা না ছাড়লে দেখা হবে না রানুর সঙ্গে। যদিও এসব কিছুই জানেন না ‘লতাকণ্ঠী’।
রানুর অভিযোগ, এত যে ইউটিউবাররা আসে কেউ একটুও খাবার আনে না। অন্যদিকে প্রতিবেশীদের বক্তব্য অন্য। খাবার দিলেও রানুর হাজারো সন্দেহ। মুরগির মাংস দিলেও বলবেন কাকের মাংস। এমনকি খাবারে বিষ মেশানো হয়েছে ভেবেও ছুঁড়ে ফেলে দেন। অবশ্য এতে রানুর দোষ দেন না কেউ খুব একটা। ঘা খেতে খেতেই আজ এই অবিশ্বাস জন্মেছে তাঁর।