হায়দ্রাবাদের সাইবারবাদ এলাকায় ডঃ প্রীতি রেড্ডির (নাম পরিবর্তিত) ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জনতার ক্ষোভ এখনও বন্ধ হয়নি। লোকেরা দাবি করছে ধর্ষণকারীদের ফাঁসি দেওয়া হবে এবং জনতার কাছে হস্তান্তর করা হোক। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, হায়দ্রাবাদের কারাগারের বাইরে লোকদের প্রচুর ভিড় জমা হয়েছিল যেখানে তাদের রাখা হয়েছিল।
‘ন্যায়বিচার’ দাবি করে লোকেরা কারাগারে প্রবেশ করে ধর্ষণকারীদের তাদের কব্জায় নেওয়ার চেষ্টা পর্যন্ত করেছিল। পুলিশ লাঠিচার্জ করে লোকজনকে তাড়িয়ে দেয়। মামলার প্রধান আসামি মোহাম্মদ পাশা ও জোলু সিবা সহ চার আসামিকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এখন হায়দ্রাবাদ থেকে আরো একটা খবর সামনে এসেছে যা নিয়ে মানুষের রোষ চরম সীমায় পৌঁছে গেছে। চারজন ধর্ষণের আসামিকে কারাগারে মাটন খাওয়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে। চেরাপল্লীর উচ্চ সুরক্ষা কারাগারের চারটি সুরক্ষিত কারাগারে ডিনারে রাতের খাবারের সময় অভিযুক্তদের মাটন-কারি দেওয়া হয়েছিল। খবর পেয়ে লোকেরা পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে। সকালের খাবারে অভিযুক্তদের ভাত ও ডাল দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাতের খাবারে অভিযুক্তদের মটন কারী দেওয়া হয়েছিল।
ঘটনা জানা জানি হতেই লোকজনের ভিড় কারাগার এর এলাকায় জমায়েত হয়ে ক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ বিষয়ে জেল প্রশাসনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানাই যে এটাই জেলের নিয়ম। জেলের মেনু অনুসারে খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। অভিযুক্তরা ডঃ রেড্ডিকে ধর্ষণ করে তাকে হত্যা করেছিল। মহম্মদ পাশা ধর্ষণ কাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড ছিল যার নেতৃত্বে ডঃ রেড্ডিকে পুড়িয়ে মারা হয়।
এই ঘটনার 4 দিন পরে মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর তার নীরবতা ভেঙে বলেছেন এবং তিনি এই খবরে দুঃখিত হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, দ্রুত ট্র্যাক আদালতে শুনানি শেষে দোষীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়া উচিত। এর আগে, ডঃ রেড্ডির কাকা অভিযোগ করেছিলেন যে সিএম কেসিআরের পরিবারকে শোকবার্তে পাঠানোর সময় নেই। পরের দিন কেসিআরকে একটি হাই প্রোফাইল বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখা গেছে।