কিশোরীকে ধর্ষণ, অভিযুক্তকে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা! ভাইরাল হাড়হিম করা ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিহারের কাটিহারে ৯ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তকে পিটিয়ে হত্যা করেছে জনতা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, বুধবার কিশোরীর সঙ্গে অশালীন কাজ করে মোহাম্মদ সগীর। মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাছে ঘটনাটি জানায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

কিশোরীর সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে এলে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে মোহাম্মদ সগীরকে ধরে ফেলে। গ্রামের রাস্তার একটা তালগাছের সঙ্গে তাকে বাঁধে স্থানীয়রা । এরপর তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে। পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটি হাসানগঞ্জ থানা এলাকার হাসানগঞ্জ বাজারের। যেখানে স্থানীয় গ্রামবাসীরা অভিযুক্তকে মারধরের ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে।

মেয়েটির মা জানান, মেয়েকে নিয়ে বাড়ির বারান্দায় ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। রাত ২টার দিকে পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ সগীর তার মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। ঘুম ভেঙে গেলে মেয়েকে পাশে না পেয়ে রাতেই সবাই খুঁজতে বের হয়। এরপর, হাসানগঞ্জ বাজারের গ্যাস গোডাউনের কাছে নগ্ন অবস্থায় নাবালিকা ও মোহাম্মদ সগীরকে পাওয়া যায় ।

মেয়েটির সাথে মোহাম্মদ এর এই কান্ড দেখে পরিবারের লোকজন খুবই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযুক্তকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয় এরপর। গ্রামবাসীরা বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। অভিযুক্ত মোহাম্মদ সগীরের বিরুদ্ধে অতীতেও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে এবং মামলাও চলছে আদালতে।

कटिहार : 9 साल की बच्ची से दुष्कर्म के आरोपी मोहम्मद सगीर की पेड़ से बांधकर जमकर पिटाई, आरोपी की हुई मौत। pic.twitter.com/SO1G1faYN5

— Bihar Just In (@BiharJustin) October 6, 2022

এই ব্যাপারে হাসনগঞ্জ থানার ওসি রামচন্দ্র মন্ডল জানান, একটি ধর্ষণের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রামবাসীর কবল থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় যারাই দোষী তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। মৃত্যুর পর পুলিশ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।