বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) পূর্বে সভা, পাল্টা সভায় মেতে উঠেছে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডো অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যেখানেই সভায় মজছেন ঠিক সেই স্থানেই পাল্টা সভার আয়োজন করছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেইমতই গত সপ্তাহে অভিষেকের রানাঘাটের (Ranaghat) করে যাওয়া সভার পাল্টা জবাব দিতে তার কিছুটা দূরেই সভার আয়োজন করেছিলেন শিশির পূত্র। আর সেখানেই ঘটল বিপত্তি। শুভেন্দুর সভায় স্বগর্বে দাঁড়িয়ে রয়েছে ধানতলা ধর্ষণকাণ্ডের (Dhantala Rape Case) অন্যতম আসামী আশিসবরণ উকিল। এই ঘটনাকে ঘিরেই এবার তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
একই সভামঞ্চে বিরোধী দলনেতা ও ধানতলা ধর্ষণ কাণ্ডের আসামীর উপস্থিতি কার্যতই অস্বস্তি বাড়াল গেরুয়া শিবিরের। প্রসঙ্গত, মাত্র চারদিন আগে রানাঘাট ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে শুভেন্দুর সভায় বক্তব্য রাখতে শোনা যায় আশিসবরণ উকিলকে। বর্তমানে বিজেপির কর্মী হলেও তাঁর পূর্ব পরিচিতি প্রাক্তন সিপিএম নেতা হিসেবে। ২০০৩ সালের ফেব্রয়ারিতে যে ধানতলা ধর্ষণ কাণ্ড ঘটে তার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন তিঁনি। এ ছাড়াও এলাকায় সন্ত্রাস করার অভিযোগে একাধিকবার জেলে গিয়েছেন এই কুখ্যাত নেতা। বর্তমানে বিজেপির ছত্রছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে আশিসবরণ। এ দিন শুভেন্দুর সভায় বক্তৃতা করে আশিসবরণ তৃণমূল কর্মীদের মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ।
এ দিনের শুভেন্দুর সভায় এই কুখ্যাত নেতার উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে বিজেপিকে একহাত নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এ বিষয়ে গেরুয়া শিবিরকে বিঁধে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “শুধু রাম-বাম জোট নয়, সিপিএমের কুখ্যাত হার্মাদরাও বিজেপির আশ্রয়ে গিয়ে বাংলায় অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু তৃণমূল এই প্ররোচনায় পা দেবে না, তবে হামলাকারী বিজেপির গুন্ডাদের রুখতে প্রস্তুত।”
সোমবার বিজেপির করা সভার প্রতিবাদ জানাতে রানাঘাটের ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠেই ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিশাল প্রতিবাদ সভা। এ দিন সেই সভামঞ্চ থেকে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “আমরা ওদের প্ররোচনায় পা দেব না। আমরা বাংলায় হিংসা ছড়াতে দেব না। ওরা অশান্তি করতে যাইবে, আমরা উন্নয়ন নিয়ে, মুখ্যমন্ত্রীর ৭৭টি সামাজিক প্রকল্প নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি যাব।”
পাশাপাশি বিজেপিকে তোপ দেগে এ দিন তিঁনি আরও বলেন, “আমরা শান্তি চাই, কিন্তু ধানতলা, বানতলা ধর্ষণ কাণ্ডের অভিযুক্তরা হামলা করতে আসার সময় পকেটে নিজের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে আসবেন। কারণ, এদের হামলা করা হাত ভেঙে ওই কার্ড দিয়ে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসবো। ”