বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলতি মাসেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতার (TMC Student Leader) বিরুদ্ধে! পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) জেলার কাঁথির (Kanthi) এক নাবালিকাকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযুক্ত নেতা শুভদীপ গিরির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। সেই মত অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এবার অবিলম্বে সেই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
এদিন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসে মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই মামলায় তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্ৰকাশ করলেন বিচারপতি। তদন্তকারী অফিসারের ভূমিকায় রীতিমতো বিরক্ত বিচারপতি মান্থা। তৃণমূল ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে, কলকাতার এক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে ধর্ষণ করে লাগাতার সেই ভিডিয়ো তুলে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ উঠছিল। এই ঘটনায় প্রেক্ষিতে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারকে পুলিশি নিরাপত্তা প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।
তবে এদিন আদালতে ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা তদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে গা ছাড়া মনোভাব দেখানোর অভিযোগ তুললেন স্বয়ং বিচারপতি। তদন্তকারীদের উদ্দেশ্য করে বিচারপতি এদিন বলেন, “বলতে কোনও দ্বিধা নেই যে আপনি অভিযুক্ত সম্পর্কে দুর্বলতা দেখাচ্ছেন । আপনার জন্য কিছু অপ্রাসঙ্গিক বিষয় আদালতে এসে পড়ছে। অভিযুক্ত কোথায় আছে আপনি সবটাই জানেন। কিন্তু ইচ্ছে করে আপনি ধরছেন না আপনার গা ছাড়া মনোভাব কোর্টের নজর এড়াচ্ছে না।”
পাশাপাশি অভিযুক্তের আইনজীবীর কাছে বিচারপতির প্রশ্ন, “ভিডিয়ো ক্লিপ কোথায়? আপনার মক্কেল পলাতক। তারপরেও বলছেন, আগাম জামিনের আবেদন করা হয়েছে ! গত শুনানিতে আত্মসমর্পণের নির্দেশের পরে কি করে আগাম জামিনের আবেদন করেন আপনি?” এরপরেই এই ঘটনায় পুলিশের তদন্তের গতি ও ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে অভিযুক্তকে গ্রেফতারির চেষ্টা করার নির্দেশ দেন পুলিশকে। জানিয়ে রাখি আগামিকাল নিম্ন আদালতে ফের এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।