বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করেছে ‘এই’ তৃণমূল নেতা! মহিলার অভিযোগে পুলিশকে বড় নির্দেশ আদালতের

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ। গত বছর ২২ অক্টোবর ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি নির্যাতিতার। অভিযোগ, এরপর থানার দ্বারস্থ হলেও তাঁর অভিযোগ নেওয়া হয়নি। শেষমেষ আদালতে যান ওই মহিলা। এবার আদালতের তরফ থেকে পুলিশকে (West Bengal Police) বড় নির্দেশ দেওয়া হল।

কোন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে?

জানা যাচ্ছে, পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে বাড়ি নির্যাতিতার। তমলুকের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। নির্যাতিতার দাবি, পূর্বে কোনও ক্ষেত্রে তাঁর প্রতি অন্যায় হয়েছিল। সেই মামলা আদালতে বিচারাধীন। বর্তমানে তিনি তমলুকে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। সেই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তমলুকের বিধায়কের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক সংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়।

অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা ওই মহিলাকে সুবিচার ও কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন বলে অভিযোগ। এরপর সেই নেতা কথা বলার বাহানায় ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর ওই মহিলার ভাড়া বাড়িতে হাজির হন। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। কাউকে এই বিষয়ে কিছু জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা।

আরও পড়ুনঃ ক্ষমা চাইলেও রেহাই নেই! IO-র বিরুদ্ধে রুল জারি, কড়া নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট

এরপর থানার দ্বারস্থ হন ওই মহিলা কিন্তু পুলিশ তাঁর অভিযোগ নেয়নি বলে অভিযোগ। এরপর সোজা আদালতে যান তিনি। ইতিমধ্যেই আদালতের তরফ থেকে পুলিশকে এফআইআরের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী গত ২৫ মে তমলুক থানায় (Tamluk Police Station) এফআইআর দায়ের করা হয় বলে খবর। যদিও ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তাঁর দাবি, এর আগে এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছিলেন ওই মহিলা।

অভিযুক্ত নেতার দাবি, কয়েক মাস আগে বিধায়কের কার্যালয়ে অভিযোগকারিণীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। মহিলার চাকরি চলে যাওয়ায় তাঁকে চাকরির জন্য বলেন। শাসকদলের নেতার কথায়, এক বিজেপি (BJP) নেতাকে একই অভিযোগে ওই মহিলা জেল খাটিয়েছেন। এটাই তাঁর ব্যবসা! এভাবেই মানুষকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করেন তিনি।

trinamool congress tmc flags

এই বিষয়ে প্রদেশ তৃণমূল সহ সভাপতি পার্থসারথি মাইতির গলাতেও শোনা গিয়েছে একই সুর। বিজেপি নেতাকে ‘ফাঁসানো’র কথা তিনিও বলেছেন। পার্থসারথির কথায়, ‘আমরা ওই মহিলাকে আগে থেকেই চিনি। উনি বিজেপি নেতাকে ফাঁসিয়েছেন। ওনাদের ফাঁসানো হয়ে যাওয়ার পর তৃণমূল নেতাদের নিশানা করলেন। তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যে। সম্পূর্ণ ঘটনা পুলিশ তদন্ত করে পদক্ষেপ নেবে’। জেলা বিজেপি নেতা সুকান্ত চৌধুরী এই বিষয়ে বলেন, পুলিশের তদন্তে সঠিক তথ্য সামনে আসবে।

উল্লেখ্য, বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। তার আগে শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগকারিণীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। অন্যদিকে পুলিশকে এফআইআরের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশি তদন্তে কী সামনে আসে সেটাই দেখার।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

X