বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভাঙা মানেই তা ধর্ষণ নয়! সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে তোলপাড় দেশ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের (Rap) অভিযোগ নতুন নয়। প্রায়ই এই ধরণের অভিযোগ উঠতে দেখা যায়। এবার যেমন এই ধরণের একটি মামলাতেই সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন অভিযোগকারী মহিলা। বুধবার বিচারপতি সন্দীপ মেহতা ও বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল।

অভিযুক্তকে নির্দোষ সাব্যস্ত করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)!

জানা যাচ্ছে, ১৬ বছর ধরে একত্রবাসের পর প্রাক্তন সঙ্গীর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন একজন মহিলা। ঘটনাটি ২০২২ সালের। সেই বছর প্রাক্তন সঙ্গী অন্য এক মহিলার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন ওই মহিলা।

অভিযোগকারিণীর দাবি, ২০০৬ সালে গভীর রাতে লুকিয়ে তাঁর বাড়িতে ঢুকে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক (Physical Relation) স্থাপন করার চেষ্টা করেছিলেন অভিযুক্ত যুবক। এদিকে অভিযুক্ত পাল্টা দাবি করেন, সেই রাতের ঘটনার পরেও তাঁদের সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়েনি। বরং এরপর দু’জনের সম্মতিতে বেশ কয়েক বছর ধরে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে এরপর সেই সম্পর্কে ফাটল ধরে।

আরও পড়ুনঃ ‘তৃণমূলও চাইলে উগ্র হতে পারে, কিন্তু…’! যাদবপুর কাণ্ডে এবার বিস্ফোরক রাজ চক্রবর্তী

২০২২ সালে অন্য একজন মহিলার সঙ্গে প্রাক্তন সঙ্গী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন ওই মহিলা। সোজা সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন তিনি। গতকাল বিচারপতি মেহতা ও বিচারপতি নাথের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে ভর্ৎসনার মুখে পড়েন অভিযোগকারিণী।

Supreme Court school teacher recruitmentaa

দুই পক্ষের যুক্তি শোনার পর অভিযুক্ত যুবককে নির্দোষ সাব্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিরা জানান, বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভাঙা মানেই ধর্ষণ নয়। বিয়ের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে যদি কোনও মহিলাকে জোর করে শারীরিক সম্পর্কে টেনে আনা হয়, একমাত্র সেক্ষেত্রেই তা ধর্ষণ হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে সবকিছু দু’জনের সম্মতিতেই ঘটেছে।

সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতিরা আরও বলেন, অভিযোগকারিণীর বয়ানে নানান অসঙ্গতি রয়েছে। অভিযুক্ত জোর করে যদি সেই মহিলার সঙ্গে যৌন মিলন করে থাকতেন, তাহলে তিনি এতদিন কেন মুখ বন্ধ করে রেখেছিলেন? যখন সেই যুবক অন্য একজনকে বিয়ে করলেন, তারপরেই হঠাৎ করে সেই অভিযোগ আনলেন? শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, অভিযোগকারিণী প্রতিষ্ঠিত ও উচ্চশিক্ষিতা। এক দশকের অধিক সময় ধরে তিনি যৌন নির্যাতন সহ্য করবেন, সেটা কার্যত অবিশ্বাস্য।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর