ধর্ষিত হয়েও বাড়ির লোকের ভয়! প্রমাণ নষ্ট করতে যৌনাঙ্গে ব্লেড-পাথর ঢোকালেন তরুণী, তারপর…

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছরের আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া আরজিকর কান্ড নিয়ে এখনও তোলপাড় সারা বাংলা। বিগত কয়েক মাসে দিন বদলেছে শুধু ক্যালেন্ডারে। তাই প্রতিনিয়ত সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আজও ঘটে চলেছে একের পর এক ধর্ষণ (Rape) আর নারী নির্যাতনের ঘটনা। সম্প্রতি এক অটোচালকের কাছে ধর্ষিত হয়েছেন বছর কুড়ির এক তরুণী। তারপর বাবা-মায়ের কাছে বকা খাওয়ার ভয়ে ঘটিয়ে ফেলেছেন এক ভয়ঙ্কর কান্ড।

ধর্ষিত (Rape) হওয়ার পর বাড়ির লোকের ভয়ে গোপনাঙ্গে ব্লেড আর পাথর ঢোকালেন তরুণী

ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বাইয়ে। গত মঙ্গলবার মুম্বাইয়ের গোরেগাঁও-এর একটি রেল স্টেশনের কাছ থেকে ২০ বছর বয়সী এক তরুণীকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। শারীরিক পরীক্ষা করতেই উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তরুণীর যৌনাঙ্গ থেকে উদ্ধার করা হয় ব্লেড আর পাথর। এরপর সেই ঘটনার সূত্র ধরেই উঠে আসে আরও এক অবাক করা কাহিনী।

নির্যাতিতা জানান এক অটোচালকের সাথে তার পরিচয় হয়েছিল। গত মঙ্গলবারই তার সাথে বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে আরনালা সৈকতে গিয়েছিলেন তরুণী। সেখানকার একটি হোটেলে একসাথে রাত কাটানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু তরুণীর কাছে কোন পরিচয়পত্র না থাকায় তারা হোটেলে ঘর পাননি। তাই সমুদ্র সৈকতেই রাত কাটানোর পরিকল্পনা করেন তারা।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর এক ধমকেই হল কাজ! ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কড়া পদক্ষেপ, জারি নোটিস

তরুণীর অভিযোগ ওই সময় তাকে ধর্ষণ (Rape) করে অভিযুক্ত অটোচালক। তারপর তাকে একা ফেলে রেখেই পালিয়ে যায় সে। অন্যদিকে এই ধর্ষণের ঘটনা বাড়িতে জানাজানি হলে বাড়ির লোক বকাবকি করবে সেই ভয়ে প্রমাণ লোপাট করতেএকটি সার্জিক্যাল ব্লেড কিনেছিলেন তরুণী। পরে সেই ব্লেড এবং একটি পাথর নিজের যৌনাঙ্গে প্রবেশ করান তিনি। পরে ওই অবস্থাতেই স্টেশনে যান। কিন্তু প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করেন এবং রক্তপাত হতে শুরু করে। এরপর স্টেশনেই তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত অটোচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করার পাশাপাশি তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশের দাবি ওই তরুণীর বয়ানেও অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। কারণ প্রথমে বারাণসীতে কাকার কাছে থাকার সময় তিনি নিজেকে অনাথ বলে দাবি করেছিলেন। অথচ পুলিশ স্টেশনে পরে তার বাবা এসে উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি পুলিশকে জানান তার মেয়ে এর আগেও দুটি ধর্ষণের (Rape) মামলা দায়ের করেছিলেন। তাই তরুণীর কোন মানসিক সমস্যা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।