তৃণমূলের ছাত্র নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা, রাতে নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়িতেই হামলা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলতি মাসেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতার (TMC Student Leader) বিরুদ্ধে! পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) জেলার কাঁথির (Kanthi) এক নাবালিকাকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগে বর্তমানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের যুব নেতা শুভদীপ গিরির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে, মামলা চলাকালীনই নির্যাতিতার পরিবারকে আক্রমণের অভিযোগ উঠে এল যুব নেতার বিরুদ্ধে।

কলকাতার এক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে দিঘার হোটেলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগ উঠেছিল ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। সেই নিয়েই আদালতে দায়ের হয়েছিল মামলা। এই পরিস্থিতিতেই এবার প্রকাশ্যে এল রাতে নির্যাতিতার বাড়িতে ইট ছোড়ার পাশাপাশি তাঁর পরিবারের লোকেদের হুমকি দেওয়ার মত বিস্ফোরক অভিযোগ।

নাবালিকার বাবার অভিযোগ, লাগাতার এমন ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন তিঁনি। তাঁর দাবি, ইট ছোড়ার ঘটনার সময় কাঁথি থানার ওসিকে ১৮ বার ফোন করেন তিঁনি। তবে কোনো উত্তর মেলেনি। এরপর ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ ওসি নির্যাতিতার বাবাকে ফোন করেন। তাঁর দাবি, চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। এরপর দুষ্কৃতীদের ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে শেষমেশ তাঁদের বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা।

rape case

প্রসঙ্গত, চলতি মাসে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় হাইকোর্টের দারস্ত হয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা। সেখানে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা অভিযুক্তকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি, নাবালিকা ও তাঁর পরিবারকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশও দেন। শুধু তাই নয় প্রয়োজনে পুলিশ পিকেট বসানোর কথাও বলেন বিচারপতি। তবে কোথায় কী! বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ঘরবাড়ি ছাড়ার উপক্রম সেই পরিবারের।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর