বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ। বিবাদের মীমাংসা করার নাম করে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ডেকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এবার এই মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ ‘নির্যাতিতার’ পরিবার
জানা যাচ্ছে, ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়ে এদিন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের মেয়েকে কার্যালয়ে ডেকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। যদিও পুলিশ এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি। এমনকি এফআইআর-এও ধর্ষণের কোনও ধারা যুক্ত করা হয়নি।
আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি এই ঘটনার মামলা দায়ের করার আবেদন জানিয়েছেন। চলতি সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত হয় দিন সাতেক আগে। গত সপ্তাহের রবিবার বিকেলে এক মহিলাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগকে কেন্দ্র রীতিমতো হৈচৈ পড়ে গিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে।
আরও পড়ুন: কেন ফুরফুরা যাচ্ছেন মমতা? বড় কথা ‘ফাঁস’ করে দিলেন শুভেন্দু, শোরগোল শুরু
অভিযোগ, তৃণমূল কার্যালয়ে বিবাদের মীমাংসা করার নামে ডেকে ওই মহিলাকে নির্যাতন করে এক তৃণমূল নেতা। আরও এক জন নাকি তাঁকে সাহায্য করেছিল। জানা যাচ্ছে, এই ধর্ষণের অভিযোগ মানেনি পুলিশ। অন্যদিকে হাসপাতাল সূত্রে খবর, নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টে নাকি অত্যাচার, শারীরিক নির্যাতন এবং যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মেলেনি। ধর্ষণের কথাও উল্লেখ নেই রিপোর্টে। নারায়ণগড়ের এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপির অভিযোগ, মূল ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চাইছে প্রশাসন। দাবি করা হচ্ছে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে আড়াল করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর ওই ঘটনার ৭ দিন পর, রবিবার নির্যাতিতার সাথে দেখা করতে তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা। এদিন প্রতিবেশী এবং স্থানীয়দের সঙ্গেও কথাবার্তা বলেছেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, পরে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি এবং পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারের সঙ্গেও দেখা করেছেন।