নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ সেপ্টেম্বর- মঙ্গলবার বন্ধ ছিল স্কুল মহরম উপলক্ষে। কিন্তু ধর্মনগর হারুয়া এলাকায় ১১ বছরের নাবালিকা স্কুল খোলা ভেবে স্কুলের উদ্যেশ্যে রওয়ানা দেয় সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ। কিন্তু পরিবারের লোকজন দুপুরেট পরও মেয়ে বাড়িতে আসছেনা দেখে খুঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এদিন সন্ধ্যা ৬টায় পরিবারের লোকজন খবর পান মেয়েটি কলেজ রোডে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই মোতাবেক পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে কলেজ রোড থেকে নিয়ে যান। অসহায় মায়ের মনে সন্দেহের দানা বাধে। রাতে মা মেয়ের কাছ থেকে ঘটনা জানতে পারেন। নাবালিকার মা জানান মেয়েটি সকালে বাড়ি থেকে বের হতেই পাশের বাড়ির লক্ষ্মী তাতি নাথ নামে এক ৬১ বর্ষীয় বৃদ্ধ নাবালিকা মেয়েকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে হাত পা বেঁধে তার সাথে কুকর্ম করে।
বুধবার ধর্মনগর মহিলা থানায় মেয়ের পরিবারের লোকজন এসে ঘটনা খুলে বলে।খবর যায় মহকুমার সাংবাদিকদের কাছে। সেই খবর পেয়ে মহকুমার সাংবাদিকরা ধর্মনগর মহিলা থানায় গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে। ঘটনার বিস্তারিত পরিবারের লোকজনদের কাছ থেকে জেনে নেওয়ায়, খেপে লাল হয়ে যান ধর্মনগর মহিলা থানার ভার প্রাপ্ত ওসি বন্ধনা চৌধুরী। কারণ ইদানিং ধর্মনগর মহিলা থানায় ওসি স্বর্ণা দেববর্মা না থাকায় তিনি দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তাই তিনি যা বলবেন তাই শেষ কথা। এতে দোষী ব্যক্তি শাস্তি পাক বা না পাক তাতে তার কিছু যায় আসে না।
কোন নির্যাতিতা শিশু কিংবা মহিলা থানায় এলে অভিযোগ করলে অভিযোগ কারিনীদের শাসন করতে দেখা যায়। যাতে থানায় ভেতরেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এদিন নাবালিকা মেয়ে ধর্ষণের বিষয়ে ধর্মনগর মহিলা থানায় ভারপ্রাপ্ত ওসি বন্ধনা চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে ঘটনা অস্বীকার করেন। সংবাদ মাধ্যমের চাপে পড়ে ঘটনা স্বীকার করলেও মহকুমার সাংবাদিকরা সেই বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে, তিনি জানান রাতে থানায় এসে জানতে, এখন তিনি কিছু বলতে পারবেন না। অবশেষে মহকুমার সাংবাদিকরা দারস্ত হয় মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাজীব সূত্রধরের কাছে।
তিনি সম্পূর্ণ ঘটনা শুনে প্রাথমিক তদন্ত করে মহিলা থানাকে মামলা নিতে বলেন। এই ঘটনা সম্পর্কে চাইল্ড লাইনের এক সদস্যা জানান শিশুটির বাড়ি গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। তাকে আইনি সহায়তার জন্য থানায় নিয়ে আসেন বলে জানান চাইল্ড লাইনের এক সদস্যা। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাজীব সূত্রধরের আদেশে মামলা নেয় মাহিলা থানা। কিন্তু অভিযোগ তার মধ্যে রয়েছে আরও বড় খামতি।যেখানে নাবালিকা ও তার পরিবার জানিয়েছে মেয়েটিকে হাত পা বেঁধে বিবস্ত্র করা হয়েছিল। আটকে রাখা হয়েছিল সারা দিন। অনেক জল ঘোলার পর অবশেষে চাপে পরে ৬১ বর্ষীয় বৃদ্ধ অভিযুক্ত লক্ষ্মী তাতি নাথকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।