বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্বল্প সংখ্যক ছবি, তাও আবার শুধুমাত্র দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় করে কি গোটা দেশে জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়? এখন দক্ষিণী ছবির বাড়বাড়ন্ত দেখার পর উত্তরটা ‘হ্যাঁ’ হলেও কয়েক বছর আগেও পরিস্থিতিটা অন্য রকম ছিল। অথচ সেই সময়েই শুধুমাত্র দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করে ‘জাতীয় ক্রাশ’ এর তকমা পেয়ে বসেছিলেন রশ্মিকা মন্দানা (Rashmika Mandana)।
অন্যান্য জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের তুলনায় তাঁর অভিনীত ছবির সংখ্যা অনেকটাই কম। কিন্তু এত কম সময়েই যে জনপ্রিয়তা রশ্মিকা পেয়েছেন তা কেরিয়ারের অনেক দূর এসে তবে পেয়েছেন অন্যরা। বিশেষ করে ‘পুষ্পা’র পর আরো খ্যাতি বেড়েছে ‘শ্রীভল্লি’র। তিনি এখন প্রথম সারির অভিনেত্রীদের সমান পারিশ্রমিক নেন। খুব শীঘ্রই বলিউডেও অভিষেক করবেন।
এখন রশ্মিকা বলতে অজ্ঞান সকলে। কিন্তু জাতীয় ক্রাশকেও এক সময় নিন্দা, কটুক্তি সইতে হয়েছিল। এমন সুন্দরী রশ্মিকার গায়ের রঙ ও শারীরিক ত্রুটি নিয়েও ট্রোল করেছিল নিন্দুকরা। রেহাই পায়নি তাঁর পরিবারও। ব্যক্তিগত জীবন, ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার ধরন সবকিছুই নিন্দুকদের নিশানায় চলে এসেছিল। ক্রমাগত নিন্দা সইতে সইতে অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন রশ্মিকা।
সীমা ছাড়ায় যখন নিজের ছোটবেলার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করায় একজন ‘যৌনকর্মী’ বলে কটাক্ষ করেন। সেদিন আর চুপ করে থাকেননি অভিনেত্রী। পালটা আক্রমণ করেছিলেন। কাউকেই এই ধরনের কুরুচিকর কটাক্ষ করা উচিত নয়, স্পষ্ট বলেছিলেন রশ্মিকা। তাঁর দাবি, কাজ নিয়ে সমালোচনা করলে তাঁর কিছুই বলার নেই। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের দিকে আঙু্ল তোলার অধিকার কারোর নেই।
রশ্মিকা জানিয়েছিলেন, প্রতিনিয়ত নোংরা সমালোচনা শুনতে শুনতে অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন তিনি। নিজের অভিনয় প্রতিভার প্রতিও সন্দেহ দেখা দিতে শুরু করেছিল তাঁর। অত্যন্ত কঠিন সময় কাটিয়ে তবেই এই জায়গায় এসে দাঁড়াতে পেরেছেন রশ্মিকা।
আগামীতে বলিউডে একাধিক ছবিতে দেখা যাবে রশ্মিকাকে। সিদ্ধার্থ মালহোত্রার বিপরীতে মিশন মজনু ছবির হাত ধরে ডেবিউ করছেন তিনি। এছাড়া অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে গুড বাই এবং রণবীর কাপুরের বিপরীতে অ্যানিমাল ছবিতে অভিনয় করবেন রশ্মিকা।