বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জাতপাত ব্যবস্থাই ভারতবর্ষকে এক সুতোয় বেঁধে রেখেছে। এবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (Rashtriya Swayamsevak Sangh) মুখপত্রে এমনটা দাবি করা হল। এর আগে সঙ্ঘের মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) জাতপাত বৈষম্যের বিরুদ্ধে একাধিকবার মুখ খুলেছিলেন। তবে এবার আরএসএসের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে কার্যত ভিন্ন সুর শোনা গেল।
জাতপাত নিয়ে বিরাট দাবি আরএসএস (Rashtriya Swayamsevak Sangh) মুখপত্রে!
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মুখপত্রে দাবি করা হয়েছে, জাতপাত ব্যবস্থা ভারতবর্ষকে এক সুতোয় বেঁধে রেখেছে। এই জাতপাত ব্যবস্থা মোঘলরা বুঝতে পারেনি। ব্রিটিশরা এই ব্যবস্থাকে এদেশ দখলের পথে একটা বাধা হিসেবে দেখেছে। তবে আদতে এই ব্যবস্থাই এদেশকে এককাট্টা করে রেখেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
আরএসএসের (RSS) মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, জাতপাত ব্যবস্থার দ্বারা ভারতীয় সমাজকে পেশা এবং প্রথা অনুসারে ভাগ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতের নানান শ্রেণিকে এক সুতোয় বেঁধে রাখা হয়েছে। এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, বিরোধীদের জাতগণনার দাবি এবং জনসংখ্যার অনুপাতের নিরিখে সংরক্ষণের দাবির সামনে এখন বিজেপি-আরএসএসকে বোঝাতে হচ্ছে তারা এই সংরক্ষণের বিপক্ষে নেই। সেই কারণেই মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে এমন দাবি করা হয়েছে কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
আরও পড়ুনঃ পুলিশ অতীত! আরজি কর কাণ্ডে এবার CBI তদন্ত? হাইকোর্টে মামলা হতেই তোলপাড়!
এদিকে জাতপাত প্রসঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (Rashtriya Swayamsevak Sangh) এহেন মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা। তাঁর দাবি, জাতপাত ব্যবস্থা সমাজকে এক করেনি। বরং বিভাজন তৈরি করেছে। এই অবস্থান বি আর আম্বেদকরের ভাবনা এবং সংবিধানের প্রস্তাবনায় যে সাম্যের কথা বলা হয়েছে তার বিরোধী বলে দাবি করেছেন ডি রাজা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট তফশিলি জাতি, জনজাতিদের মধ্যে সংরক্ষণ নিয়ে বিরাট নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে এনডিএ আবার জাতপাতের রাজনীতি করার রাজনৈতিক দলগুলির বিরোধিতা করায় কেন্দ্রীয় সরকার সংরক্ষণের সুবিধা থেকে কাউকে বাদ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই বিষয়টিকেই আরও পরিস্ফুট করতে আরএসএসের মুখপত্রে এমন দাবি করা হল কিনা তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।