বাংলা হান্ট ডেস্ক : তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই অনুরাগীদের কৌতূহল থাকে আকাশ ছোঁয়া। ব্যতিক্রমী নন বাংলা সিরিয়ালের রাসমণি অর্থাৎ রানিমা অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায় (Ditipriya Roy)-ও। চলতি বছরের দোলেই নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন অভিনেত্রী। প্রেমে পড়ার সেই খবর গোপন-ও করেননি তিনি।
দিতিপ্রিয়া রায়ের (Ditipriya Roy) প্রেমিক পেশায় ফুটবলার
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমিকের সাথে অনুরাগীদের পরিচয় এখনও তাঁর নাম-পরিচয় জানাননি দিতিপ্রিয়া (Ditipriya Roy)। শুধু জানা গিয়েছে তাঁর প্রেমিক (Boyfriend) বিনোদন জগতের মানুষ নন। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা বরাবরই অপছন্দ দিতিপ্রিয়ার (Ditipriya Roy)। তাই আপাতত তাঁর প্রেমিক সম্পর্কে জানার কৌতূহল হলেও উপায় নেই অনুরাগীদের।
চলতি বছরের দোলের দিন আড়াল থেকেই প্রেমিকের সাথে পরিচয় করিয়েছিলেন নায়িকা। এই সম্পর্ক নিয়ে দারুন সিরিয়াস অভিনেত্রী। তাই আপাতত নিজেদের সম্পর্ক টাকেই গুরুত্ব দিতে চান দিতিপ্রিয়া। অবশ্য দোলের দিন অভিনেত্রীর মা সুদীপ্তা রায় হবু জামাইয়ের সাথে পরিচয় করাতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বলে ফেলেছিলেন,’আমাদের আদরের রিভু বাবু।’
দিতিপ্রিয়ার প্রেমিককে এই নামেই ডাকেন তাঁর মা। তবে তাঁর আসল পরিচয় সামনে আসেনি এখনও। এরই মাঝে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের খবর দিতিপ্রিয়ার প্রেমিক নাকি পেশায় একজন ফুটবলার। তিনি হলেন চেন্নাইয়িন এফসি টিমের গোলকিপার শমীক মিত্র। বাঙালি এই ফুটবলারের বাড়ি জলপাইগুড়ি।
আরও পড়ুন : বড় হয়েই ‘ভিলেন’ হবে সোনা! অনুরাগের ছোঁয়ায় আসছে তোলপাড় করা পর্ব
টলি পড়া সূত্রে খবর কিছুদিন আগে এই চর্চিত প্রেমিকের সাথে ঘুরতেও গিয়েছিলেন দিতিপ্রিয়া। তবে অভিনেত্রীর অনুরাগীদের তাঁর প্রেমিক সম্পর্কে জানার কৌতূহল যেন দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। যদিও অভিনেত্রী জানিয়েছেন সঠিক সময় আসলে তিনি নিজেই তাঁর প্রেমিকের সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দেবেন।
অন্যদিকে কাজের ক্ষেত্রে বহুদিন পর বাংলা সিরিয়ালে ফিরছেন দিতিপ্রিয়া। একসময় এই টেলিভিশনের পর্দায় শিশুশিল্পী হিসাবেই সফর শুরু করেছিলেন দিতিপ্রিয়া। জানা যাচ্ছে আগামী দিনে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’তে সূর্য-দীপার মেয়ে রুপার বড়বেলার চরিত্রে অভিনয় করবেন দিতিপ্রিয়া।
আনন্দবাজার অনলাইনে এপ্রসঙ্গে দিতিপ্রিয়া জানিয়েছিলেন, ‘চুক্তি সক্রান্ত কিছু কথা এখনও বাকি আছে। আগামী ২৮ অগস্ট আমার এমএর ফাইনাল পরীক্ষা। সেটা শেষ হলেই বাকি কথা এগোবে।’