বাংলাহান্ট ডেস্ক: ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। প্রতিপদ থেকেই ঠাকুর দেখার ভিড়ে গমগম করছে মণ্ডপ গুলি। এমন সময়ে মডার্ন সাজে ঠাকুর দেখতে হাজির স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণ, পদ্মমণি, রাঘব। রাজবাড়ির বেশ ছেড়ে আলট্রা মডার্ন সাজে ধরা দিলেন তাঁরা। ব্যাপারটা কেমন হবে বলুন তো?
না, গল্প নয়। এমনটা ঘটেছে বাস্তবেই। আসলে একটি প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমের পুজোর শুটের জন্যই এমন অবতারে করুণাময়ী রাণী রাসমণির সদস্যরা। তাদের সঙ্গ দিয়েছেন মিঠাই পরিবারের সদস্যরাও। ভূপাল তথা পুরনো স্যান্ডি বিশ্বাবসু বিশ্বাসও রয়েছেন মডেল রূপে।
মোদক পরিবারকে প্রতিদিনের মডার্ন সাজে দেখতেও সাধারণত রাসমণির টিমকে শাড়ি, ধুতি পাঞ্জাবিতেই দেখতে অভ্যস্ত সকলে। হঠাৎ তাদেরই এমন রূপ দেখে প্রথমটা হকচকিয়ে গিয়েছিলেন সকলেই। বিশেষত পর্দার রামকৃষ্ণ ওরফে সৌরভ সাহাকে দেখে চেনা ভার। কমলা, নীল, কালো রঙের মিশেলে পাঞ্জাবি পাজামায় দেখা মিলল তাঁর। চুলে স্পাইক করে হাল ফ্যাশনের চশমায় সেজেছেন তিনি।
রামকৃষ্ণের হেয়ার স্টাইলিংয়ের দায়িত্ব আবার নিয়েছিলেন অমিতাভ দাস। তবে এই নামে তাঁকে চিনবেন না। রাসমণিতে তিনি রাঘব অর্থাৎ পদ্মমণির জামাই হিসেবেই পরিচিত। ঐন্দ্রিলা সাহা ওরফে নীপার সঙ্গে টুইনিং করে অমিতাভ পরেছিলেন নীল প্রিন্টের পোশাক। দুজনকে বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে ছবিও তুলতে দেখা গেল।
সবথেকে বেশি নজর কাড়ল দিয়া মুখোপাধ্যায় ওরফে শ্রীয়ের হেয়ার স্টাইল। শান্তশিষ্ট চশমা আঁটা শ্রীকে ফ্যাশন ফটোশুটে দেখে বিষম খেয়েছেন অনেকেই। মিঠাইয়ের পুরনো স্যান্ডি ওরফে বিশ্বাবসুর প্রেমিকা সেজে ছবিও তুললেন তিনি। আরেক দিয়া ওরফে পদ্মমণি তখন সৌরভের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পোজে ছবি তুলছেন। মজা করে বলেই বসলেন, “তোমার বৌ আমাকে মারবে না তো?”
বাঙালির পুজো মানেই দেদারে আড্ডা, ফ্যাশনের সঙ্গে সঙ্গে আর একটা জিনিস না যোগ করলেই নয়। তা হল পেটপুজো। ফটোশুট হল আর একটু পেটপুজো না হলে হয়? তাই কাজের সঙ্গে রকমারি খাবার দাবারও হাজির ছিল অভিনেতা অভিনেত্রীদের জন্য। চাউমিন, মোমোতে পেট ঠাণ্ডা করে ফের হইহই করে শুরু হয় কাজ। নেটদুনিয়ায় আপাতত মজে প্রিয় চরিত্রগুলির এই নতুন সাজে।