বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের শিল্প জগতে রতন টাটা (Ratan Tata) ছিলেন এক মহীরুহ। তাঁর মৃত্যুর পর কষ্ট পাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। রতন টাটা শুধু শিল্পপতি হিসাবে নন, সমাজ বন্ধু হিসাবেও জায়গা করে নিয়েছেন সকলের মনে। তাঁর অসামান্য দূরদৃষ্টির জন্য আজ টাটা গোষ্ঠী (Tata Group) পৌঁছেছে নতুন উচ্চতায়।
রতন টাটার (Ratan Tata) বাবুর্চি
তবে টাটার মৃত্যুর পর সামনে এসেছে তাঁর উইলের কিছু গোপন খবর। উইলে কাকে কাকে সম্পত্তি দিয়ে গিয়েছেন রতন টাটা (Ratan Tata)? তাঁদের পরিচয়ইবা কী? সেসব কিছু জেনে নেব আজ। প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার সম্পদের অধিকারী ছিলেন রতন টাটা। রতন টাটার উইলে এমনকিছু ব্যক্তির নাম রয়েছে যারা রতন টাটার আত্মীয় নন।
আর সেখানেই অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গিয়েছেন রতন টাটা (Ratan Tata)। ছোট ভাই জিমি টাটা, সৎ বোন শিরিন এবং ডিনাকে রতন টাটা দিয়েছেন তাঁর সম্পত্তির ভাগ। টাটা ফাউন্ডেশনকে দান করেছেন সম্পত্তির একটা বড় অংশ। এমনকি রতন টাটা উপযুক্ত ব্যবস্থা করে গিয়েছেন তাঁর প্রিয় পোষ্যর জন্যেও।
আরোও পড়ুন : বেহালার হাসপাতালে ভয়ঙ্কর কান্ড! রোগী মৃত্যুর পর নার্সকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে যা করা হল….
তাঁর মৃত্যুর পর প্রিয় পোষ্যের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেই কারণে নিয়েছেন অভিনব উদ্যোগ। রতন টাটার প্রিয় বাবুর্চি (Cook) ছিলেন রাজন শাউ (Rajan Shaw)। রাজনের উপর রতন টাটা দিয়ে গিয়েছেন প্রিয় পোষ্য টিটোর দেখভালের দায়িত্ব। যতদিন টিটো বেঁচে থাকবে রাজন ততদিন টিটোর প্রয়োজন অনুযায়ী খরচ করতে পারবেন টাটার একটা সম্পত্তির অংশ।
আরোও পড়ুন : দুবাইয়ের পথে ‘রেশন দুর্নীতির’ বাকিবুর! এদিকে জেলেই বন্দি জ্যোতিপ্ৰিয়…
এমনকি গত ৩০ বছরের সেবক সুবাইয়াকেও বঞ্চিত করেননি রতন টাটা (Ratan Tata)। এছাড়াও রতন টাটার উইলে নাম রয়েছে শান্তনু নাইডুর। শান্তনুর সংস্থায় থাকা শেয়ার ছেড়ে দিয়েছেন রতন টাটা। বিদেশে পড়াশোনা করার জন্য যে ঋণ শান্তনু নিয়েছিলেন তাও শোধ করে দিয়েছেন রতন টাটা।
নিয়ম মেনে, টাটা সন্সে রতন টাটার অংশীদারিত্ব প্রদান করা হবে ‘রতন টাটা ফাউন্ডেশন’কে। এছাড়াও ২০-৩০টি বিলাসবহুল গাড়ি ছিল রতন টাটার সংগ্রহে। জানা যাচ্ছে, পুনের কোনও মিউজিয়ামে রাখা হতে পারে সেই গাড়িগুলি। এমনকি পরবর্তীকালে সেই গাড়িগুলিকে নিলামেও তোলা হতে পারে টাটা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে।