বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমজনতার কথা মাথায় রেখেই ন্যানো গাড়ি লঞ্চ করেছিল টাটা মোটরস। পাশাপাশি, সারা দেশজুড়ে এটি পরিচিত হয় “লাখটাকার” গাড়ি হিসেবে। এছাড়াও, গাড়িটি লঞ্চ হওয়ার পরেই রীতিমতো সাড়া পড়ে যায় দেশজুড়ে। কিন্তু, তারপরেও বাজারে সফল হতে পারেনি গাড়িটি। যার কারণে এই গাড়ির উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয় সংস্থার তরফে।
যদিও, টাটা মোটরস “লাখটাকার” এই গাড়ির উৎপাদন বন্ধ করে দিলেও গাড়িটি এখনও রাস্তায় দেখতে পাওয়া যায়। তবে, রতন টাটার এই স্বপ্নের গাড়িটিকে সম্প্রতি কোম্পানি নতুন রূপ দিয়েছে। যখন বৈদ্যুতিক ন্যানো গাড়িটিকে রতন টাটার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়, তখন তিনি এই গাড়িতে করেই ঘোরার লোভ সংবরণ করতে পারেননি!
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, Electra EV হল এমন একটি সংস্থা যা বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য পাওয়ারট্রেন তৈরি করে। এই সংস্থাই “লাখটাকার” এই গাড়িটিকে একটি বৈদ্যুতিক গাড়িতে কাস্টমাইজ করেছে। পাশাপাশি, সংস্থাটি নিজেই এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য LinkedIn মারফত তুলে ধরেছে।
এই প্রসঙ্গে সংস্থাটি জানিয়েছে যে, “গাড়িটির প্রতিষ্ঠাতা রতন টাটা কেবল এই গাড়িটি পছন্দই করেননি, পাশাপাশি, তিনি এটি চড়েও দেখেছেন। রতন টাটাকে 72V-র ন্যানো ইভি প্রদান করা এবং তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া সত্যিই একটি গর্বের অনুভূতি।”
পাশাপাশি, Electra EV সোশ্যাল মিডিয়ায় রতন টাটার সাথে ন্যানো ইভির একটি ছবিও শেয়ার করেছে। সেই ছবিতে রতন টাটার সহযোগী শান্তনু নাইডুকেও দেখা গিয়েছে। ন্যানো ইভি একটি ৪-সিটার গাড়ি এবং এর রেঞ্জ ১৬০ কিলোমিটার।
এই গাড়িটি ১০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে শূন্য থেকে ৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে চলতে সক্ষম। পাশাপাশি, এতে ব্যবহার করা হয়েছে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। টাটা মোটরস এই গাড়ি সম্পর্কে জানিয়েছে যে, এটি যাত্রীদের একদম আসল গাড়ির অনুভূতি দেয়।
এই কাস্টম বিল্ট ন্যানো ইভিতে 72V-এর আর্কিটেকচার ব্যবহার করা হয়েছে। পাশাপাশি, Tigor ইভিতেও একই পাওয়ারট্রেন ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। কোম্পানিটি ডিজাইনে কিছু পরিবর্তন করলেও অটোমোটিভ রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (ARAI) দ্বারা ২১৩ কিলোমিটারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে সংস্থা। তবে, এটি করতে গিয়ে কোম্পানি পাওয়ারট্রেন বা ইঞ্জিনের কোনো পরিবর্তন করেনি।