চিন্তা নেই!এবার সহজেই দূর হবে প্রবীণদের একাকীত্ব! হাত বাড়িয়ে দিলেন স্বয়ং রতন টাটা! ব্যপারটা কী ?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতের শিল্প জগতে অন্যতম এক মহীরুহ রতন টাটা (Ratan Tata)। একজন শিল্পপতি হিসাবেই শুধু নয়, সমাজদরদী হিসেবে রতন টাটাকে শ্রদ্ধা করেন সবাই। বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজে রতন টাটা সর্বদাই এগিয়ে থাকেন অন্যদের থেকে। তবে এবার রতন টাটা প্রবীণদের জন্য এমন উদ্যোগ নিলেন যা শুনলে আপনি সাধুবাদ জানাতে বাধ্য হবেন।

রতন টাটার (Ratan Tata) অভিনব উদ্যোগ

সূত্রের খবর, গুডফেলোস নামক একটি নতুন স্টার্ট আপ সংস্থায় বিনিয়োগ করেছেন রতন টাটা (Ratan Tata) ও তাঁর সহযোগী শান্তনু নাইডু। এই সংস্থা কাজ করে থাকে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য। রতন টাটা জীবনের শেষ লগ্নে এসে এবার সেই সংস্থার মাধ্যমে কাজ করবেন দেশের প্রবীণদের জন্য। শেষ জীবনে একাকীত্ব বহু মানুষকেই গ্রাস করে।

   

আরোও পড়ুন : বছরভর তুঙ্গে চাহিদা! দেশের যেকোন প্রান্তেই চলবে এই ব্যবসা, মাসের রোজকার মাথা ঘুরিয়ে দেবে

এমন বহু বৃদ্ধ মানুষ (Senior Citizen) রয়েছেন যাদের শেষ বয়সে দেখাশোনা করার কেউ নেই। গুডফেলোস সংস্থা সেই কাজটিই করে থাকে। যুব সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়োগ করে এই সংস্থা প্রবীণ নাগরিকদের দেখভালের দায়িত্ব নিয়ে থাকে। সংস্থার তরুণ কর্মীদের মূল কাজই হল প্রবীণ নাগরিকদের সাথে কথা বলা, সময় কাটানো, তাদের একাকীত্ব দূর করা।

আরোও পড়ুন : এবার কপাল পুড়বে আম্বানির! ভারতে ঝড় তুলতে প্রস্তুত আফ্রিকার এই কোম্পানি, সামনে এল পরিকল্পনা

এছাড়াও অন্যান্য সাধারণ কাজ যেমন ব্যাংকে যাওয়া বা ওষুধ এনে দেওয়ার মতো কাজও করে থাকে সংস্থার কর্মীরা। বহু প্রবীণ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা রয়েছেন যাদের শেষ বয়স অত্যন্ত একাকীত্বে কাটে। সন্তান বা নাতি-নাতনিদের সঙ্গ থেকে তারা রীতিমতো বঞ্চিত হন। সেই ঘাটতি পূরণ করতেই জন্ম গুডফেলোসের (Goodfellows)।

Ratan Tata

এই সংস্থার কর্মীরা ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে থাকেন। সপ্তাহে ২-৩ দিন করে কিছু ঘন্টা প্রবীণদের সময় দিতে হয় কর্মীদের। এক কথায় বলতে গেলে, নাতি-নাতনিদের মতো প্রবীণদের সঙ্গ দিয়ে থাকেন এই সংস্থার কর্মীরা। রতন টাটার (Ratan Tata) মতো একজন প্রসিদ্ধ ব্যক্তির এই সংস্থায় বিনিয়োগ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর