বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশের (India) বর্ষীয়ান শিল্পপতি রতন টাটাকে (Ratan Tata) চেনেন না এমন ব্যক্তি রীতিমতো খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। তিনি তাঁর দয়ালু মনোভাবের কারণে একাধিকবার উঠে এসেছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। শুধু তাই নয়, দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যাও। ধনকুবের হওয়া সত্বেও তাঁর অনাড়ম্বর জীবনযাপন খুব সহজেই সবাইকে আকৃষ্ট করে। তবে, এবার এমন একটি ঘটনা সামনে এসেছে যেটি জানার পর অবাক হবেন প্রত্যেকেই।
সাম্প্রতিক সময়ে একদিকে যখন Google-Amazon-এর মতো বড় সংস্থাগুলি অর্থ বাঁচানোর জন্য হঠাৎ করেই বিপুল সংখ্যক কর্মীদের ছাঁটাই করছে ঠিক সেই আবহেই সমগ্র বিশ্বের কাছে একটি দুর্দান্ত নজির স্থাপন করলেন রতন টাটা। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, টাটার একটি প্রতিষ্ঠান যখন তার কর্মচারীদের বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করছিল সেই সময়ে রতন টাটা নিজে টাকা দিয়ে ওই কর্মচারীদের কাজে বহাল রাখেন। আর এই বিষয়টি সামনে আসার পরেই প্রত্যেকেই রতন টাটার ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
এই ঘটনাটি ঘটেছে টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেসে-এ। যেখানে গত ২৮ জুন ১১৫ জন কর্মচারীর ছাঁটাই ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর গত ৩০ জুন ওই কর্মচারীদের ছাঁটাই বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়। জানা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৫৫ জন ফ্যাকাল্টি এবং ৬০ জন নন-টিচিং স্টাফ ছিলেন। ছাঁটাই বন্ধ করার ঘোষণাটি রতন টাটার নেতৃত্বাধীন টাটা এডুকেশন ট্রাস্টের (TET) সিদ্ধান্তের পরে গ্রহণ করা হয়। কারণ, সেখানে সংশ্লিষ্ট ট্রাস্ট আর্থিক অনুদান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: সুদূর আমেরিকা থেকে মিলল বিরাট সুখবর! ৮.৩৪ লক্ষ কোটি টাকার জ্যাকপট “কনফার্ম” মুকেশ আম্বানির
জারি করা হয় নতুন ফান্ড: জানা গিয়েছে যে, ট্রাস্ট প্রকল্প, প্রোগ্রাম এবং নন-টিচিং স্টাফদের বেতন এবং অন্যান্য ব্যয়ের জন্য নতুন ফান্ড জারি করেছে। আর সেই কারণেই ১১৫ জন কর্মচারীর চাকরি বেঁচে গিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর আগে, টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস বেতনের জন্য পর্যাপ্ত ফান্ডের অভাবে কর্মচারীদের ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে যে, তারা গত ৬ মাস ধরে ফান্ডিংয়ের ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে। যার ফলে সময়মতো বেতন দেওয়া কঠিন হয়ে পড়।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিতে মহাবিপদে টিম ইন্ডিয়া! বাজেভাবে ফাঁসলেন খেলোয়াড়রা, হোটেলের রুমেই থাকতে হচ্ছে বন্দি
প্রতিষ্ঠানটি ৮৮ বছর ধরে চলছে: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্যার দোরাবজি টাটা গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ সোশ্যাল ওয়ার্ক ১৯৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৪৪ সালে এর নাম পরিবর্তন করে টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস রাখা হয়। ১৯৬৪ সালে ডিমড ইউনিভার্সিটির মর্যাদা পেলে এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক সাফল্য পায়। হিউম্যান রাইটস থেকে শুরু করে সোশ্যাল জাস্টিস এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের ফিল্ডে এই প্রতিষ্ঠানটি সমগ্র বিশ্বে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।