বাংলাহান্ট ডেস্ক: রতন টাটার (Ratan Tata) জীবন নিয়ে মাঝে মধ্যেই চর্চা হয় দেশের মানুষের মধ্যে। তিনি অনেকের কাছেই একজন অনুপ্ররণা। তাঁর জীবনের নানা কাজ থেকে অনুপ্রেরণা পান বহু মানুষ, বিশেষত যুব সম্প্রদায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিন্তু বেশ অ্যাক্টিভ এই প্রবীণ শিল্পপতি। মাঝে মধ্যেই নিজের জীবনের নানা মুহূর্তের ঘটনা শেয়ার করে নেন সকলের সঙ্গে। কীভাবে একাধিক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে আজকের জনপ্রিয় এবং অন্যতম বড় এই শিল্পগোষ্ঠী তৈরি করলেন, তারই আভাস পাওয়া যায় সেগুলি থেকে।
রতন টাটার জীবনে নানা সংগ্রাম এসেছে। নানা রকম বাধা বিপত্তি এসেছে জীবনে। তবু মাথা উঁচু করে কাজ করে গিয়েছেন এই শিল্পপতি। একাধিক সমস্যাতেও মাথা না নুইয়ে লড়াকু মানসিকতার প্রদর্শন করেছেন তিনি। যা থেকেই এসেছে টাটা গ্রুপের এত সাফল্য। নিজের জীবনের আরও একটি ঘটনার কথা সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান।
ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি গাড়ি ছিল টাটা ইন্ডিকা। বলা চলে এই গাড়ি বা এমন কিছু পদক্ষেপই আজকে ভারতকে আত্মনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন দেখতে সাহস জুগিয়েছে। দেশের প্রথম স্বদেশী গাড়ি বানাতে কম বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি টাটাকে। তাঁর সামনে এসেছে একের পর এক সমস্যা। সম্প্রতি ওই পোস্টের মাধ্যমে সকলের সঙ্গে সেই সমস্যার কথাই ভাগ করে নিয়েছেন প্রবীণ এই শিল্পপতি।
ওই পোস্টে টাটা লিখেছেন, ‘সেই সময় সকলেই বলেছিলেন যে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তির উপর ভরসা করে এই গাড়ি তৈরি সম্ভব হবে না। আমাদের বিদেশি কোনও সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতেই হবে। অনেকেই আমাদের এই পরিকল্পনায় বিশ্বাস করেননি।’ সেই সময় সকলের কথাই শুনে নিয়েছিলেন রতন টাটা। নিন্দুকদের কথায় কান না দিয়ে নিজের কাজ করে গিয়েছিলেন তিনি।
তারপর সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতেই কাজ চালিয়েছিলেন তিনি। ফলস্বরূপ ভারত পেয়েছিল তার প্রথম দেশীয় গাড়ি টাটা ইন্ডিকা। তবে এক বারেই সাফল্য আসেনি বলে জানিয়েছিলেন টাটা। ইন্ডিকা বানাতে অনেক প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্র দমে না গিয়ে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। বিগত ২৫ বছর আগে ভারতে প্রথম লঞ্চ হয়েছিল টাটা ইন্ডিকা। দেশে তৈরি যাত্রীবাহী ছোট গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ছিল।