বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিঘায় জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Mandir) নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলা যায় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার সেই মামলা খারিজ করে হাইকোর্ট সাফ জানিয়েছে এ বিষয়ে আদালতের কোনও আপত্তি নেই। অর্থাৎ আগামী ৭ তারিখ ধুম ধাম করে উদ্বোধন হতে চলেছে দিঘার জগন্নাথ মন্দির। আর কোনো বাধা নেই। এবার নির্বিঘ্নে এগিয়ে যাবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের রথ (Rath Yatra)।
প্রসঙ্গত, জগন্নাথ মন্দির নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে অভিযোগ ছিল, হিডকো শুধুমাত্র রাজারহাটের উন্নয়নের কাজেই সীমাবদ্ধ। এর বাইরে অন্য কোনও জায়গার অন্য কোনও পরিকাঠামোর বানানোর কাজ করতে পারে না তারা। যদিও সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, এই মামলাকারীর যুক্তি ভিত্তিহীন। এদিন মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘পরিকাঠামো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত রাজ্যের হাতে রয়েছে। তারা যে কোনও বিভাগকে দায়িত্ব দিতেই পারে। রাজ্যের বিভিন্ন বিভাগ বিভিন্ন কাজ করতেই পারে। এতে কী ভুল রয়েছে। এতে তো কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না?’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পুরীর আদলে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের কাজ শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে মাঝে কোভিড অতিমারীর জেরে বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল কাজ। এখনও সেই মন্দির নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি। মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা কবে, সেই বিষয়েও ধোঁয়াশা। জগন্নাথ মন্দিরের কাজ কবে শেষ হবে, তা নিয়েও স্পষ্ট কিছু সামনে আসেনি। এর মাঝেই রবিবার দিঘায় জগন্নাথদেবের প্রথম রথযাত্রা।
এখনও নির্মিয়মাণ পর্যায়েই রয়েছে সেই মন্দির। দিঘার মন্দিরের তদারকির দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসন সূত্রে খবর, নতুন জগন্নাথ মন্দির ওল্ড দিঘা স্টেশন সংলগ্ন নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়ক থেকে পুরনো দিঘার জগন্নাথ ঘাটের পুরনো মন্দিরে গিয়ে তা শেষ হবে। ইতিমধ্যেই এই রথযাত্রার উৎসব নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে।
আরও পড়ুন: নরম হলেন মুখমন্ত্রী! অবশেষে DA-বেতন বৃদ্ধিতে শীলমোহর? রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর
একদিকে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার জন্য তিনটি রথের কাঠামো তৈরির কাজ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই। সুদূর রাজস্থানের বংশী পাহাড়পুর থেকে এসে পৌঁছে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি চলে এসেছে।
ওড়িশা থেকে দক্ষ কারিগর ১৫ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন এই রথগুলি নির্মাণ করেছে। পুরীর আদলেই রথের মাথায় বসানো হয়েছে চূড়া। কিন্তু কে এই রথের উদ্বোধন করবে, কী ভাবে গোটা পর্ব সম্পন্ন হবে, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা চূড়ান্ত। এই নিয়ে কার্যত চুপ দিঘা উন্নয়ন পর্ষদ। প্রশাসনের তরফেও এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।