বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আবারও উঠে এলো এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। মাছ ধরতে গিয়ে কিনা জালে ধরা পড়ল একটি ব্যাগ আর তার মধ্যে রয়েছে অসংখ্য ডিজিটাল রেশন কার্ড! সম্প্রতি এই ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। অনিল চৌধুরী নামে এক এলাকাবাসী মাছ ধরতে গেলে তাঁর জালে মোট 47 টি রেশন কার্ড ভর্তি ব্যাগ উঠে আসে। এই ঘটনায় বর্তমানে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন।
ঘটনার কেন্দ্রস্থল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মালদহ জেলার দক্ষিণ চাঁদপুরের ঋষিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালাহার গ্রাম। এই এলাকাতেই বসবাস করেন অনিল চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি। পেশায় মৎস্যজীবী এই ব্যক্তি গত বৃহস্পতিবার মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বিলের কাছে যান। তবে সেখানে যে অপেক্ষা করে রয়েছে এক আশ্চর্য ঘটনা, তা ভেবে উঠতে পারেননি তিনি।
জানা গিয়েছে, জলের মধ্যে জাল ফেলার পর হঠাৎই সেটি প্রচণ্ড ভারী হয়ে ওঠে। স্বভাবতই জালে মাছ এসেছে ভেবে তা উপরে তুলতে প্লাস্টিকের ব্যাগ চোখে পড়ে অনিলবাবুর। পরবর্তীতে, সেই ব্যাগ খুলতেই তার মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় 47 টি রেশন কার্ড। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসীদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয। এমনকি এসকল রেশন কার্ডগুলিতে সম্প্রতি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লাইন দেওয়া বহু মানুষের নাম রয়েছে বলেও খবর। এই ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরেই অনিল চৌধুরীর বাড়ির সামনে ভিড় বাড়ায় গ্রামবাসীরা।
তবে যার জন্য এত বিশাল সংখ্যক ডিজিটাল রেশন কার্ড উদ্ধার করা সম্ভব হলো, সেই অনিল বাবু কথায়, “মাছ ধরেছি ভেবে জাল তুলতেই আমার চোখ কপালে ওঠে। প্লাস্টিকের ব্যাগ খুলে দেখতেই তার মধ্যে থেকে অসংখ্য রেশন কার্ড উদ্ধার করি আমি। তবে প্রথমে এগুলিকে ‘fake’ বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে বাড়ি এসে দেখে মনে হয়েছে যে, এগুলি আসল। কারণ, এগুলি জাল হওয়ার কোনরকম প্রমাণ নেই।”
এই ঘটনাটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার পর বড়সড় ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে অবশ্য খাদ্য দপ্তর এবং প্রশাসন দ্বারা তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে খবর।