বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আনছে ইডি। আগেই শঙ্কর আঢ্যের (Shankar Adhya) দুবাইয়ের সংস্থার কথা আদালতে জানিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আর এবার পেশ করা হল প্রমাণও। তৃণমূল নেতা শঙ্করের সংস্থার লেনদেনের হিসাব দিতে গিয়ে দুবাইয়ের ব্যাঙ্কের নথিও দেখাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ওরফে ইডি (Enforcement Directorates)।
প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষ থেকে রেশন মামলার তদন্তে নেমেছে ইডি। রেশন দুর্নীতিতে প্রথমে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) গ্রেফতার করে ইডি। আর তারপর জ্যোতিপ্ৰিয় ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা তথা উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যর গ্রেফতারি।
ইডি সূত্রে দাবি, দুবাইয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে শঙ্করের সংস্থার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। অন্য একটি ভারতীয় সংস্থার সঙ্গেই সেই লেনদেন করা হয়েছে। ইডির পেশ করা ব্যাঙ্কের নথি অনুযায়ী ২০১৯ সালের ১৬ অক্টোবর একটি ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে ৭৯,৫৪৮ ডলার লেনদেন হয়েছে শঙ্করের সংস্থার। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ৬৬ লক্ষ টাকারও বেশি। যদিও সংস্থার নাম সামনে আনেনি ইডি। তবে সেই সংস্থাও বর্তমানে ইডির নজরে।
ইডি আগেই জানিয়েছে , তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত শঙ্কর আঢ্যর নামে ৯০টি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থার সন্ধান মিলেছে। এই সংস্থা গুলির মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে আশঙ্কা ইডির। আদালতে ইডি জানিয়েছে, শঙ্করের সংস্থার মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে লেনদেন করা হয়েছে। তার মধ্যে অন্তত ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের।
তদন্তকারী সংস্থার দাবি করেছিল, জেলবন্দি শঙ্করের মাত্র একটি সংস্থারই দশ বছরের ‘টার্নওভার’ এক হাজার কোটি টাকা। এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হয়েছে। এছাড়া শঙ্কর ও তার পরিবারের থাকা থাকা ১১টি ফোরেক্স সংস্থার মাধ্যমে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হয়েছে বলে তদন্তকারীরা দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: শীত-বৃষ্টির আজব খেলা! কাল থেকে ফের ভিজবে দক্ষিণবঙ্গ, দেখুন আগামী ৭ দিনের আবহাওয়ার আপডেট
ইডি জানতে পারে দুবাইয়ের শঙ্করের যে সংস্থাটি রয়েছে তার লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে জেরা করলে শঙ্কর ইডিকে জানান সংস্থাটি বিদেশে রফতানির প্রয়োজনে তৈরি করা হয়েছিল ঠিকই তবে ওই সংস্থার মাধ্যমে ব্যবসা করা হয়নি। তবে শঙ্কর ভুল তথ্য দিয়েছেন নথি পেশ করে এমনটাই দাবি ইডির। ওদিকে প্রথম থেকেই কোনও দুর্নীতির সঙ্গে তিনি যুক্ত নন বলে দাবি করে চলেছেন শঙ্কর।