বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশন দুর্নীতি কাণ্ড (Ration Scam) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই মামলার তদন্তে সন্দেশখালি গিয়ে হামলার মুখে পড়েছিলেন ইডি (Enforcement Directorate) আধিকারিকরা। সেই জল ইতিমধ্যেই অনেক দূর গড়িয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হয়েছেন মাস খানেক হয়ে গেল। এবার ফের রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে কোমর বাঁধছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
বিরোধীদের তরফ থেকে আগেই অভিযোগ করা হয়েছিল, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ার পর বাতিল রেশন কার্ড (Ration Caed) নিয়ে প্রচুর খাদ্যসামগ্রী তোলা হয়েছিল। রেশন থেকে তুলে সেই খাদ্যসামগ্রী মোটা টাকায় বাইরে বিক্রির অভিযোগও উঠেছিল। এবার এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই কারণে খাদ্য দফতরের থেকে বাতিল রেশন কার্ডের তথ্য চেয়ে পাঠালেন তাঁরা।
জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ অবধি কতগুলি রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে সেই তথ্য চেয়েছে ইডি (ED)। বায়োমেট্রিক পদ্ধতির শুরু হওয়ার পর কতগুলি রেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে সেই তথ্য তদন্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। বেশ কিছুদিন আগেই খাদ্য দফতরের (Food Department) কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল ইডি। তবে এখনও এই বিষয়ে কোনও জবাব আসেনি বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ ভোটের আগে হঠাৎ অভিষেকের মুখে কেষ্ট নাম, বীরভূমে দাঁড়িয়ে নেতা বললেন, ‘অনুব্রত যদি…’
জানা যাচ্ছে, ভুয়ো রেশন কার্ড হোল্ডারের সংখ্যাটা ঠিক কত সেটা জানতে চাইছে ইডি। খাদ্য দফতরের তরফ থেকে এই সংখ্যাটা জানানো হলে বেনিয়মে কত রেশন সামগ্রী তোলা হয়েছিল সেই বিষয়ে আন্দাজ করা যাবে। ফলে দুর্নীতির সামগ্রিক চিত্রটা আরও পরিষ্কার হবে বলে অনুমান। তাই সেদিক থেকে দেখা হলে ইডির তরফ থেকে এটি অত্যন্ত বড় পদক্ষেপ। এবার খাদ্য দফতরের তরফ থেকে তথ্য দেওয়া হলেই বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে গোয়েন্দাদের কাছে।
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর সূত্র ধরেই সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের নাম উঠে আসে বলে খবর। গত ৫ জানুয়ারি তাঁর বাড়িতে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তবে উত্তেজিত জনতার হামলার মুখে পড়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসতে হয় তাঁদের। বর্তমানে শাহজাহানকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ইডি আধিকারিকরা। রেশন দুর্নীতি নয়, বরং বেআইনি আর্থিক লেনদেনের একটি মামলায় গোয়েন্দাদের জেরার মুখে পড়েছেন সন্দেশখালির নেতা।