বাংলা হান্ট ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) নিয়ে তোলপাড় রাজ্যে। আর এরই মধ্যে এবার বাম জমানার (Left Front) দুর্নীতির কথা সামনে এল। ২০০৭ সাল থেকে হওয়া সেই রেশন দুর্নীতির তথ্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ED) তুলে দিল একটি সংগঠন। মঙ্গলবার সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে আধিকারিকদের হাতে বিভিন্ন তথ্য এবং নথি তুলে ধরা হয়।
২০০৭ সাল থেকেই অন্তত চারটি জেলা উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদা এবং মুর্শিদাবাদে রেশন সংক্রান্ত বিষয়ে এবং রেশন কার্ড (Ration Card) নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে বলে ইডির কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
ইডির কাছে পেশ করা ওই অভিযোগ অনুযায়ী, বাম আমলেই (CPIM) কুইন্টাল পিছু কয়েকজন ফুড ইন্সপেক্টর ৫০ টাকা করে নিতেন। তার ফলে ডিলারদের হিসাব দিতে হত না। রেশন কার্ডের গ্রাহকদের রেশন তোলার সময় একটি সরকারি মেমো বা রশিদ দেওয়া হত, তাতে রেশন দ্রব্যের বিবরণ থাকে। কিন্তু ২০০৭ সাল থেকে রেশন ডিলাররা সেই রশিদ না দিয়েই রেশন দিতেন। রেশন ডিলাররা (Ration Dealer) গ্রাহকদের সঠিক মাপের দ্রব্যও দিতেন না বলে অভিযোগ। এভাবেই বিপুল পরিমাণ টাকার তছরুপ করা হয়েছে বলে দাবি ইডির।
বাম আমলে একেক জন রেশন ডিলার সপ্তাহে বড়জোর ১৫ কুইন্টাল সামগ্রী পেতেন। সেই মতো তারা কেউ মাসিক পাঁচ হাজার টাকা এবং বার্ষিক ৬০ হাজার টাকার বেশি বেতন পেতেন না। কিন্তু তখন থেকেই রেশন ডিলাররা বিপুল সম্পত্তির মালিক। তাঁরা কীভাবে এত টাকার মালিক হলেন সেই নিয়ে ইডির কাছে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে।
এদিকে আরও জানানো হয়েছে, ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে বাম আমলেই ৪২ সপ্তাহ ধরে গ্রাহকদের রেশন দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে ফেটে পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। এবার দেখার ইডি কী পদক্ষেপ নেয়।