বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ থেকে শুরু করে রেশন, বাংলার বুকে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) যেমন নাম জড়িয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ একাধিক হেভিওয়েটের। সম্প্রতি এই মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এসবের মাঝে ফের একটি রেশনে জালিয়াতির ঘটনা সাড়া ফেলে দিল বাংলায়।
রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) দায়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বাবা!
এবার ব্লক তৃণমূল সভাপতির বাবার বিরুদ্ধে রেশনে কারচুপির মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই খাদ্য দফতরের তরফ থেকে ওই ডিলারকে (Ration) ২ কোটি ৩ লক্ষ টাকা ফাইন করা হয়েছে। ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ব্লক তৃণমূল সভাপতি আখতার আলির বাবা আবদুল হাকিমের বিরুদ্ধে রেশনে জালিয়াতির এই অভিযোগ উঠেছে।
খাদ্য দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, সীমান্ত সংলগ্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত চা বাগান অঞ্চলে খাদ্যসামগ্রী বিলি করা দেখিয়ে গায়েব প্রচুর রেশন সামগ্রী। যদিও বাস্তবটা একেবারে আলাদা! জানা যাচ্ছে, লক্ষাধিক জাল রেশন কার্ড ব্যবহার করে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। ডিজিটাল রেশন সিস্টেম চালু হতেই ফাঁস হয়েছে এই কেলেঙ্কারি (Ration Scam)।
আরও পড়ুনঃ মুকুলের কাছে গচ্ছিত জ্যোতিপ্ৰিয়র ২০ কোটি টাকা! সামনে হিসাব, রেশন দুর্নীতিতে নয়া মোড়
বিষয়টি নজরে পড়তেই তদন্ত শুরু হয়। এরপর ডিলারকে মোটা টাকা ফাইনের সিদ্ধান্ত নেয় খাদ্য দফতর। ওই ডিলারের বিরুদ্ধে ভুয়ো কার্ডের মাধ্যমে রেশন বিলি দেখিয়ে প্রচুর খাদ্য সামগ্রী সরানোর অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে আবদুল হাকিম প্রকাশ্যে কিছু না বললেও তাঁর ছেলে তথা তৃণমূল নেতা আখতার আলি মুখ খুলেছেন।
ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ব্লক তৃণমূল সভাপতি বলেন, বাবা আলাদা ব্যবসা করেন। এর সঙ্গে শাসক দলের কোনও যোগসূত্র নেই। আখতারের কথায়, ‘খাদ্য দফতরের তরফ থেকে বাবাকে এত টাকা ফাইন করা হয়েছে। আইনি পথে আমরা এর মোকাবিলা করব’। গরমিল (Ration Scam) হলে আগে কেন আধিকারিকদের নজরে পড়ল না? আচমকা কেন এত টাকা ফাইন? এমন একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এদিকে রেশন ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের ধীরেন সিনহা বলেন, ‘রেশনে গরমিলের কারণে এত বিপুল অর্থ ফাইনের নজির সম্পূর্ণ বাংলায় একপ্রকার নজিরবিহীন। সম্পূর্ণ বিষয়টা ফের খতিয়ে দেখার জন্য ওই রেশন ডিলার খাদ্য দফতরে আবেদন করেছেন। আমরা বলতে চাইছি, খাদ্য দফতর এতদিন কী করছিল’? এদিকে সম্পূর্ণ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে জেলায়।