বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দুঃসময়ে স্ত্রী এবং বান্ধবী- দুজনকেই পাশে পেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (sovan chatterjee)। সোমবার সকালে নারদকাণ্ডে আচমকাই গ্রেফতার করে রাজ্যের চার বর্তমান এবং প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখার্জী এবং মদন মিত্রকে গ্রেফতারের পর থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় গোটা বাংলা জুড়েই।
নিজাম প্যালেসে তাঁদের নিয়ে যেতেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই সেখানে হাজির হন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘আমাকে আসতে বারণ করা হলেও, আমি ওনার সঙ্গে সেখানেই যাই’। এমনকি তাঁদের প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার সময়ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখানেই শেষ নয়, প্রেসিডেন্সিতে ঢুকতে গেলে গেটেই আটকে দেওয়া হয় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপর সেখানে দাঁড়িয়েই চোখে জল নিয়ে তিনি আবেদন করেন, ‘একটিবার শুধু দেখতে দিন আমায়। অন্তত ওষুধটা দিতে দিন। আপনারা অমানুষের মতো ব্যবহার করছেন। ওনার হাই সুগার থাকার পরেও কিছু খেতে দেন নি। আপনারা কি করছেন ওনার সঙ্গে? আমাকে একবার ঢুকতে দিন’।
অন্যদিকে স্বামীকে গ্রেফতার করার খবর পেয়ে ঘরে চুপ করে বসে থাকতে পারলেন না স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ও। বিগত কয়েক বছর ধরে তাঁরা আলাদা থাকলেও, শোভন চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ায় নিজাম প্যালেসে ছুঁটে গেলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ির লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখানে আমি আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার জন্য এসেছি’।
প্রথম থেকে তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থাকলেও, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপির ভালো সাফল্য দেখে তৃণমূল এবং তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ছিন্ন করে, বিজেপির খাতায় নাম লেখান। কিন্তু সেখানে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুব একটা গুরুত্ব না দেওয়ায় এবং সর্বোপরি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পাওয়ায়, বিজেপির সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেন শোভন-বৈশাখী। বর্তমানে তাঁরা তৃণমূলেও নেই, আবার বিজেপিতেও নেই।