বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকালই ইতি পড়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায় প্রেয়সী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাহিত জীবনে। দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী মনোজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা লড়ার পর গতকালই বিচ্ছেদের নথিতে শিলমোহর দিয়েছে আদালত। মিউচুয়াল ডিভোর্সের পথেই হেঁটেছেন দুজন। আর এরপরই শোভন বৈশাখী কে একহাত নিলেন শোভন পত্নী রত্না।
বুধবার আদালতে চুড়ান্ত শিলমোহর পড়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাহ বিচ্ছেদে। সেদিনও বৈশাখীর সঙ্গে ছিলেন শোভন। এদিন আদালত চত্ত্বরেই শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন৷ ‘আমার বৈশাখীর সঙ্গে যতদিন ধরে পরিচয় আমি ওর লড়াইটা দেখেছি। সেখান থেকে আজ একটা পর্যায়ে মুক্তির স্বাদ পেয়েছে। আমিও সেই মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছি। আমি জানি বহু চক্রান্ত, অসত্য পরিবেশন করা হয়েছে। আজও দেখলাম, অন্যান্য সময়ও দেখেছি। কিন্তু একটা কথা আমি আবারও বলব, আমি যেখানে বুক দেখাই সেখানে পিঠ দেখাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমস্ত বিষয়ে দায়িত্ব নিতে, দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে আমি কোনওদিন পিছু পা হইনি। অসত্যের কাছে, বিভিন্ন জায়গায় দ্বিচারিতার কাছে আমি নতি স্বীকার করি না। বিশ্বাসযোগ্যতা যাদের নেই, তাদের সঙ্গে আমি কখনওই আপোস করি না।’
অন্যদিকে ‘মুক্তির জন্য মরিয়া’ হয়ে উঠেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। স্ত্রী রত্নার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে তাঁরও। কিন্তু তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সন্তানদের মুখ চেয়ে কোনও মতেই শোভনকে ডিভোর্স দেবেন না তিনি। আর এই নিয়েই প্রায়ই তুঙ্গে ওঠে দুপক্ষের কোন্দল। কখনও রত্না-বৈশাখীর ‘ক্যাটফাইট’, কখনও আবার শোভন রত্নার কাদাছোঁড়াছুড়ি সব মিলিয়ে তুঙ্গে তাঁদের দাম্পত্য কলহ। এবার বৈশাখীর ডিভোর্সের পর স্বামী শোভন এবং তাঁর বান্ধবীকে একহাত নিলেন রত্না।
পুরো বিষয়টি প্রসঙ্গে দুজনকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগেই তো কাশ্মীর গেল হানিমুন করতে। এখন আবার ধেইধেই করে নাচতে নাচতে আদালতে গেছে ডিভোর্স হচ্ছে শুনে। ওদের ব্যাপারে এর বেশি বলতে আমার রুচিতে বাধে।’ উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়েছিলেন এই যুগল। সেখানকার একাধিক অন্তরঙ্গ ছবিও স্যোশালমিডিয়ায় শেয়ার করেন বৈশাখী। সেই প্রসঙ্গ টেনেই যে এহেন ‘হানিমুন খোঁচা’ রত্নার তা বলাই বাহুল্য।