বাংলা হান্ট ডেস্ক: শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন স্ত্রী তথা ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়, মমতার কাছে ভাইফোঁটা নেওয়ার খবরে যিনি শোভন কে বলেছিলেন ‘শুভবুদ্ধির উদয় হচ্ছে’, তিনি এবার পর্ণশ্রী থানায় প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ দায়ের করলেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে অশালীন ম্যাসেজ পাঠানোর অভিযোগ দায়ের করেছেন রত্না। যদিও শোভন জানিয়েছেন, ম্যাসেজ পাঠানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কেননা রত্নার ফোন নম্বর তিনি ব্লক করে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ঘরের ছেলে আবার ঘরে ফিরতে পারেন খুব শিগগিরই। সম্প্রতি শোভন চট্টোপাধ্যায় কে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। কানাঘুষোয় শোনা গেছে যে আজই দ্বিতীয়বারের জন্য মমতার হাত ধরে তিনি মূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন শোভন৷ গত বেশ কয়েকদিন ধরে শোভন চট্টোপাধ্যায় কে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যেরকম ব্যাপার-স্যাপার চলছে তার থেকে এই জল্পনায় অতীব তীব্র হয়েছে৷
অনেকে বলছেন, ‘শুভ’ কাজে কেউই খুব বেশি অপেক্ষা করতে চান না৷ হয়তো খুব শিগগিরই আসবে সেই ‘শুভ’ দিন৷ অথবা কয়েক দিনের মধ্যে হতে পারে৷ যদিও শোভন চট্টোপাধ্যায় বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও পক্ষ থেকেই এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি৷
প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, শোভন বৈশাখী দু’জনেই মাসখানেক আগে BJP-তে যোগ দিয়েছেন। পার্থবাবুর বাড়িতে এদিন বৈশাখীর যাওয়া ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়। তারপর আবার ভাইফোঁটায় শোভনের, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি যাওয়া নিয়ে তুমুল চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় রাজনৈতিক মহলে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে সারদা মামলায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তলব করে সিবিআই। কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র সারোদা গ্রুপকে বিভিন্ন লাইসেন্স এর সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছিলেন এই বিষয়গুলি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তলব করে শোভনকে। এই তলব পাওয়ার পরেই হাজিরা দেওয়ার জন্য বৈশাখী বন্দোপাধ্যায় কে নিয়ে সিজিও কম্প্লেক্স পৌঁছান শোভন।
সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, শোভন চট্টোপাধ্যায় যখন কলকাতা পৌরসভার মেয়র ছিলেন তখন সারদা গ্রুপের কর্ণধার সুদীপ্ত সেন একাধিক ট্রেড লাইসেন্স পায়েছিলেন, সারদা মামলার এই বিষয়টি বর্তমানে নজর এনেছে সিবিআই। যে কারণে আজ সল্টলেকের সিজিও কম্প্লেক্স ডেকে পাঠানো হয়েছে শোভনকে। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার পর, সেখান থেকে বেরিয়ে এসে তিনি বলেন ‘চিটফান্ডের সঙ্গে তার কোনো রকম সম্পর্ক নেই। তদন্তের স্বার্থেই আজ হাজিরা দিতে এসেছেন তিনি।’