বাংলাহান্ট ডেস্ক: একুশ শতকে এসেও মহিলাদের কোনো উন্নতি নেই। সমাজের বস্তাপচা নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের উপরে। ক্রমেই আরো রক্ষণশীল হয়ে উঠছে ভারত (India)। এমন ভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে এই দেশও সৌদি আরবের মতো হয়ে যাবে বলে মত প্রকাশ করেন রত্না পাঠক শাহ (Ratna Pathak Shah)।
প্রবীণ অভিনেত্রী বলেন, এই দেশ ক্রমেই রক্ষণশীল হয়ে উঠছে। আর সর্বপ্রথমেই আঘাতটা পড়ে মহিলাদের উপরে। একুশ শতকেও করওয়া চৌথের মতো মান্ধাতার আমলের রীতি রেওয়াজ পালন করা হচ্ছে। নাসিরুদ্দিন শাহের সঙ্গে ৪০ বছরের বিবাহিত জীবন রত্নার। অথচ গত বছর প্রথম তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় যে তিনি স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় ব্রত রাখবেন কিনা, দাবি বিস্মিত ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বোরখা’ অভিনেত্রী।
তিনি বলেন, “মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছু কিছু বিষয় ব্যতীত আর কিছুই বদলায়নি। সমাজ অত্যন্ত রক্ষণশীল হয়ে উঠছে। আমরা কুসংষ্কারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ছি। আমাদের বাধ্য করা হচ্ছে ধর্মকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে তুলতে। শিক্ষিতা আধুনিকা নারী তাদের স্বামীদের জন্য উপোস করবে যাতে তাদের আয়ু বাড়ে, এটা কি ভয়াবহ নয়? ভারতীয় সমাজে বিধবা হওয়া এখনো ভয়ঙ্কর বিষয়। তাই নিজেকে বিধবা হওয়া থেকে বাঁচানোর জন্য সবকিছু করতে রাজি। একুশ শতকে শিক্ষিতা মহিলারা এসব করছে!”
অভিনেত্রী বলেন, যেকোনো রক্ষণশীল সমাজ আগে মহিলাদের পায়ে বেড়ি পরায়। সারা বিশ্বে যত এমন রক্ষণশীল দেশ রয়েছে, সবগুলিতেই মহিলারা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। রত্না প্রশ্ন করেন, “সৌদি আরবের মহিলাদের কী সুযোগ সুবিধা আছে? আমরা কি সৌদি আরবের মতো হতে চাই? আমরা ওটাই হব কারণ ওটাই সবথেকে বেশি সুবিধাজনক।”
নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে রত্নার কটাক্ষ, মহিলারাই বাড়িতে সবথেকে বেশি বেগার খাটে। ওই কাজগুলোর জন্য টাকা দিতে হলে কে করবে? তাই মহিলাদেরই জোর করে করানো হয়। আধুনিক মহিলারাও এসব করছে দেখে বীতশ্রদ্ধ রত্না।