মমতাকে আকাদেমি পুরষ্কার দেওয়ার ‘ফল’! সম্মান ফিরিয়ে পদত্যাগ করে শুরু প্রতিবাদ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রবীন্দ্র জয়ন্তীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পুরষ্কার দেওয়ার প্রতিবাদে এবার আকাদেমির দেওয়া অন্নদাশঙ্কর পুরষ্কার ফিরিয়ে দিলেন লেখিকা তথা গবেষক রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে সাহিত্য আকাদেমির বাংলা উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করলেন লেখক অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস। বাংলা সাহিত্যের এহেন অপমানে তাঁরা বিরক্ত এই কারণ জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুই সাহিত্যিক।

মুসলিমদের বিয়ের গান এবং অন্যান্য অনেক বিষয়  নিয়ে একাধিক গবেষণা পত্র রয়েছে রত্না দেবীর। লিখেছেন অজস্র প্রবন্ধ এবং গল্প। এখনও অবধি মোট ৩০ টি পুরষ্কার পেয়েছেন তিনি। তার মধ্যে থেকে ২০১৯ সালে পাওয়া অন্নদাশঙ্কর পুরষ্কার ফিরিয়ে দিলেও ২০০৯ সালে পাওয়া আকাদেমি পুরষ্কার ফেরাচ্ছেন না তিনি।

এই পুরষ্কার ফিরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মমতা বন্দোপাধ্যায়ের লেখাগুলিকে সাহিত্য পদবাচ্য বলেই মনে করি না। যাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা কী ভাবে এটা নিলেন, তাতে আমি বিস্মিত। সাহিত্য সাধনার বিষয়।’ তবে ২০০৯ সালের পুরষ্কারটি ফিরিয়ে না দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি সাফ জানিয়েছেন, ‘আমার এই সিদ্ধান্ত কোনও ভাবেই রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়।’

অন্যদিকে পদত্যাগ করেছেন সাহিত্যিক অনাদিরঞ্জন বিশ্বাসও। তিনি এই প্রসঙ্গে বিবৃতি জারি করে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে রবীন্দ্রনাথকে বুকের মাঝে রেখেছি। তাঁর কবিতা আমার কাছে দুর্মূল্য। সেই কবির জন্মদিনে যদি এমন পুরস্কার দেওয়া হয় কবিরাত নাম করে, তা হলে তা সামগ্রিক ভাবে কবিতাকেই অসম্মান করে। তারই প্রতিবাদে আমি সাহিত্য আকাদেমির বাংলা উপদেষ্টা পরিষদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। এতে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। আমি বেশ কিছু দিন ধরে দেখছি, বাংলা সাহিত্য কেমন ভাবে যেন রাজনীতির কবলে পড়ে গিয়েছে। কিন্তু আমার সিদ্ধান্ত সম্পুর্ণ আমার নিজের।’

নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন বলেন জানিয়েছেন তাঁরা। সরে আসবেন বলে প্রতিবাদ জানাননি এমনটাই দাবি তাঁদের। যদিও দুই সাহিত্যিকের এহেন সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বাংলা সাহিত্য অ্যাকাডেমির তরফে।

 

Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর