মৃত্যুর মুখে কলকাতা! মাটি ফোঁপড়া করে ফেলছে ‘বিশেষ’ প্রাণী, মহামারির সতর্কতা দিলেন মেয়র

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইঁদুর (Rats)! ছোট্ট একটি প্রাণী শেষ করে দিচ্ছে সুন্দরী তিলোত্তমাকে! ইঁদুর দৌড় রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে কলকাতা (Kolkata) পৌরনিগমের। বিষয়টা শুনে হাসি মজার মনে হলেও, এটাই সত্যি। আমাদের অতি পরিচিত ইঁদুরের দাপট ঠেকাতে এবার ময়দানে নামছে কর্পোরেশন। শুক্রবার নতুন মহামারি নিয়ে শঙ্কার কথা শোনা গেল কলকাতার মেয়র (Mayor) ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) মুখে।

মেয়র বলেন, ভবিষ্যতে বোঝা যাবে কীভাবে শহরের তলায় ইঁদুরের বাস হচ্ছে। সুরাটে একটা সময় প্লেগে ছেয়ে গিয়েছিল। এখন থেকে সতর্ক না হলে আমাদের কলকাতাতেও হতে পারে মহামারি। কলকাতা শহরের মাটির নীচে থেকে ধীরে ধীরে গোটা কলকাতাকে শেষ করে ফেলছে এই ইঁদুর। হয়তো কিছু বছর বাদেই মহামারি ছেয়ে যেতে পারে প্রাণের শহর কলকাতায়।

এদিন উদ্বেগের সাথে ফিরহাদ বলেন,’ করোনা ডেঙ্গুর ব্যাপারটা আমাদের জানা। কিন্তু আজ থেকে ১০ বছর-২০ বছর বাদে আসতে পারে বিরাট মহামারি। হয়তো তখন আমি হয়তো চেয়ারে থাকব না। কিন্তু এখন থেকে পরিকল্পনা করতে হবে। এজেসি বোস রোডে হলদিরামের উল্টো দিকে প্রচুর ইঁদুর হয়েছে। আগে ইঁদুর দেখতে আমরা কার্জন পার্কে যেতাম। বর্তমানে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হাজার হাজার ইঁদুর বাসা বেঁধেছে। ‘

ঢাকুরিয়া ব্রিজ পর্যন্ত ইঁদুরের জ্বালায় নীচে নেমে যাচ্ছে বলে ভয়ঙ্কর মন্তব্য করেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, ইঁদুরের কারণে অনেক জায়গায় স্থাপত্য ভেঙে পড়ার অবস্থা তৈরি হচ্ছে। প্রাচীন এই শহরের নীচে বাসা তৈরি করছে সেই ভয়ঙ্কর প্রাণী। মাটি খেয়ে ফেলছে।

firhad hakim 2

মেয়র বলেন, এই মহামারি ঠেকাতে আমাদের খাবার ফেলার অভ্যাসকে বদলাতেই হবে। ব্যবসা করছে, মিষ্টির দোকান করছে ড্রেনের মধ্য়ে খাবার ফেলছে। আমরা যেখানে সেখানে খাওয়ার ফেলে দিচ্ছি, সেখানেই ইঁদুর বাড়ছে। এখন থেকেই সকলকে সতর্ক হতে হবে। নয়তো আসতে পারে ভয়াবহ মহামারি।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর