দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে হাজার হাজার টাকা “চুরি” ইঁদুরের! CCTV ফুটেজ দেখে মাথায় হাত ব্যবসায়ীর

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে প্রায় প্রতিদিনই রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চুরির নানান ঘটনা উঠে আসে খবরের শিরোনামে। কিন্তু, এবার এমন এক ঘটনা সামনে এসেছে যেটি জানার পর রীতিমতো চোখ কপালে উঠবে সবার। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনাটি ঘটেছে আমাদেরই রাজ্যে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার তমলুকের হাসপাতাল মোড়ে জেলা পরিষদের মার্কেট কমপ্লেক্সেই অমল কুমার মাইতির ভুষিমাল দোকান রয়েছে।

এমতাবস্থায়, বুধবার রাতে সারাদিনের বিক্রিবাটার পর প্রায় ১৩ হাজার টাকা দোকানের ক্যাশবাক্সে রেখে বাড়ি চলে যান দোকানের মালিক। তারপরে সকালে দোকানে এসে ক্যাশবাক্সের দিকে তাকাতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় সবার। কারণ, সেখান থেকে রীতিমতো উধাও হয়ে যায় আগের রাতে রেখে যাওয়া হাজার হাজার টাকা।

এদিকে, এই ঘটনা সামনে আসার পরেই দোকানের বাকি কর্মচারীদের বিষয়টি জানানো হয়। এতোগুলো টাকা কিভাবে উধাও হয়ে গেল তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন সবাই। ঘটনাস্থলে ভিড় জমে যায় আশেপাশের দোকানদারদেরও। অনেকেই বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিতে থাকেন। এমতাবস্থায়, পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানানোর আগে ওই দোকানে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন অমলবাবু।

সেখানে প্রথমে অস্বাভাবিক কিছুই পাওয়া যায়নি। তারপরে ফের একবার ভালোভাবে সেই ফুটেজ দেখা হলেই টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার কারণ স্পষ্ট হয়ে যায় সকলের কাছে। মূলত, ওই ফুটেজে একটি বড় ইঁদুরকে বেমালুম ক্যাশবাক্স থেকে টাকা “সরিয়ে” ফেলতে দেখা যায়। যা চাক্ষুস করে চোখ কপালে উঠে যায় সবার। ক্যাশবাক্সের সামান্য একটু ফাঁক দিয়েই টাকা হাপিস করে দেয় সে।

তারপরেই ওই ইঁদুরের গর্ত সন্ধান করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সকলে। অবশেষে পাওয়া যায় তার আস্তানার খোঁজ। আর সেখান থেকেই পাওয়া গেল মোট ১২ হাজার ৭০০ টাকা। পাশাপাশি, বাকি টাকাও পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী দোকানের মালিক। এদিকে, পুরো ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অমল বাবু অবশ্য মুচকি হেসে জানিয়েছেন, “ইঁদুরেরও একটা কৃতজ্ঞতা বোধ রয়েছে। তাই, হয়তো নোটগুলো নিয়ে বাইরে ফেলে আসেনি। সেটা করলে আর টাকাগুলো পেতাম না।” সর্বোপরি সিদ্ধিদাতা গণেশের বাহনের এহেন কাজে রীতিমতো অবাক হয়েছেন সকলে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর