বাংলাহান্ট ডেস্ক: সংস্কৃতির অপভ্রংশ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindra Nath tagore) নিয়ে এমন বাঁদরামি। সোশ্যাল সাইট এত কুরুচিকর,অশ্লীল গান যেন আর নেওয়া যাচ্ছে না । বাঙলীর প্রিয় উৎসব দোল পূর্ণিমা। আর সেই দোল উৎসবে রবীন্দ্র ভারতীতে তার গান নিয়ে যে নোংরামো হল। তা সবার চোখে পরার মত। তবুও তার কোনোও ভুরুখেপ নেই।
কখনও আবার জয়েন্ট রোল করে সুখটান মেরেই ‘নিজ ঘরানা’র গান জুড়ে দিচ্ছেন। উসকোখুসকো দাড়ি আর উকেলেলে হাতে নিয়ে গ্রীষ্ম-বর্ষা-শরত-হেমন্তে ভীষ্মলোচন শর্মার মতোই গানজুড়ে দেন তিনি! নিজেকে বলেন ‘মোকসা’। তিনি রোদ্দুর রায়। ইউটিউবার। কবি। লেখক। গায়ক। সাবঅল্টার্ন ভয়েস। ভূত বর্তমান আর ভবিষ্যতের ‘পুরো প্রতিবাদী ভাবমূর্তি’ তিনি! বিশেষণ জুড়তে জুড়তে বোধহয় শেষ আর হতে চাইবে না।
তবে গান তিনি বহুদিন ধরেই গাইছেন। কবিগুরুর গানে গালমন্দ জুড়েই চলছে তাঁর গান! কখনও আবার স্বরচিত গান তিনি শোনাচ্ছেন। গোগ্রাসে গিলছেন নেটিজেন! কিন্তু কিছু দিন আগেই সেই নেটপাড়ার চৌহদ্দি থেকে বেরিয়ে রোদ্দুর রায়ের গান সোজা ঢুকে পড়েছিল শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। কবিগুরুর শান্তিনিকেতন কী ভাবে তাঁরই গান বিকৃত করে গাওয়া হয়! প্রশ্ন উঠেছিল। বিস্তর বিতর্ক দানা বেঁধেছিল সে সময়ে।
এত কিছু হওয়ার পরও কেন তাকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ গ্রেফতার করছে না । তা নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক আলোচনা শুরু হয় ছে। এমনও শোনা যাচ্ছে যে পুলিশ যদি এই রোদ্দুর রায় কে এখনও গ্রেফতার না করে তাহলে সাধারন মানুষ সমাজ ও সংস্কৃতিকে বাচিয়ে রাখার জন্য আইন নিজের হাতে তুলে নেবে। তারাই তাকে শাস্তি দেবে।