বাংলাহান্ট ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে বলিউডি দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। দক্ষিণে পা রেখেই জয় করেছেন সেখানকার দর্শকদের মনও। তিনি রবীনা ট্যান্ডন (Raveena Tandon)। আপাতত ‘কেজিএফ চ্যাপ্টার ২’ এর সাফল্য চেটেপুটে উপভোগ করতে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি।
ফিল্মি পরিবারের মেয়ে রবীনা। বাবা রবি ট্যান্ডন ছিলেন নামী পরিচালক। স্বাভাবিক ভাবেই রবীনাও পা রাখেন অভিনয়ে। প্রথম সারির প্রায় সব অভিনেতাদের সঙ্গেই স্ক্রিন শেয়ার করেছেন তিনি। কিন্তু সেটা অনেক পরের কথা। কেরিয়ারের শুরুতে আর পাঁচজনের মতো তাঁকেও স্ট্রাগল করতে হয়েছে।
ফিল্মি পরিবার বা ক্ষমতাশালী পরিবার থেকে আসলে সহজেই পায়ের তলার মাটি শক্ত হয়। সাম্প্রতিক কালে বলিউডে এমন উদাহরণ বড় কম নেই। কিন্তু রবীনার সময়ে পরিস্থিতিটা অন্য রকম ছিল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানান, তাঁর বাবা নামী পরিচালক হওয়া সত্ত্বেও কেরিয়ারের শুরুতে তাঁর কাজ ছিল স্টুডিওর মেঝেতে বমি পরিস্কার করা!
রবীনা বলেন, “এটা সত্যি। আমার প্রথমে কাজ ছিল স্টুডিওর মেঝেতে বমি পরিস্কার করা। আমি যখন দশম শ্রেণিতে পড়ি তখন থেকেই প্রহ্লাদ কক্করের সহকারী হিসাবে কাজ করতাম। তখন থেকেই আমাকে শুনতে হত, আমি পর্দার পেছনে কী করছি। আমার তো পর্দার সামনে থাকা উচিত। কিন্তু আমার কখনোই মনে হয়নি যে আমি অভিনেত্রী হতে পারব। এমনিই এই ইন্ডাস্ট্রিতে চলে এসেছি আমি।”
কোনো মডেল না এলে রবীনাই মেকআপ করে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতেন। এটা করতে করতেই তাঁর মনে হয়, সেই যখন ক্যামেরার সামনেই দাঁড়াচ্ছেন তাহলে বিনামূল্যে কেন কাজ করবেন? এর থেকে তো হাত খরচের টাকা উঠে যায়। সেই থেকে শুরু হয় রবীনার মডেলিং।
একে একে ছবির প্রস্তাবও পেতে থাকেন। অথচ তিনি না জানতেন অভিনয়, না নাচ আর না সংলাপ বলার ধরন। কাজ করতে করতে ঠেকে শিখেছেন রবীনা। ১৯৯১ সালে বলিউডে পা রাখেন রবীনা ট্যান্ডন। তাঁর প্রথম ছবি পাত্থর কে ফুল। এরপর পেহলা নশা, ক্ষত্রিয়, আন্দাজ আপনা আপনা খিলাড়িও কা খিলাড়ির মত ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।