বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তার কথা বলতে গিয়ে হর্ষ ভোগলের মত অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞই অদ্ভুত এক বিশেষণ ব্যবহার করেন, তিনি নাকি ক্রিকেটার নন বরং একজন বিজ্ঞানী। নিজের প্রতিটা বল নিয়ে বারবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা, প্রতিটি পারফরম্যান্সের চুলচেরা বিশ্লেষণ, সব সময় নতুন কিছু আবিষ্কারের চিন্তা তাকে করে তুলেছে অনন্য। নামটা যে রবীচন্দ্রন অশ্বিন তা বোধহয় আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না। টানা চার বছর পর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে জায়গা পেয়েছিলেন তিনি। তাও প্রমাণ না করতে পারলে হয়তো বা বিরাট রাজের কাছে ব্রাত্য হয়েই থেকে যেতে হতো এই দক্ষিণী অফস্পিনারকে।
কিন্তু প্রথমে আইপিএল এবং পরে পরপর দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচেও রবীচন্দ্রন অশ্বিন বুঝিয়ে দিলেন সীমিত ওভারে তার ক্রিকেট জীবন এখনও শেষ হয়ে যায়নি। এখনও যথেষ্ট চাল রয়েছে তার হাতে বিপক্ষের কিস্তিমাত করে দেবার জন্য। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভুবনেশ্বর কুমার থেকে শুরু করে মোহাম্মদ শামি অবধি রান খরচ করেছিলেন সকলেই। বিসিসিআইয়ের বড় ভরসা রহুল চাহারও রান খরচ করেছিলেন দশের বেশি গড়ে। কিন্তু বুমরাহের সঙ্গে লাগাতার কৃপণ বোলিং করে গেলেন প্রাজ্ঞ এই অফ স্পিনার। চার ওভার শেষে দেখা গেল উইকেটের কোটা শূন্য হলেও ব্যাটসম্যানদের এই পিচে অশ্বিন খরচা করেছেন মাত্র ২৩ রান।
তখনও হয়তো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জায়গা পাকা করা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ ছিল, তবে আজ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আর আশঙ্কার কোনও অবকাশই রাখলেন না রবি। একই ওভারে শিকার করলেন দুই বাঁহাতি ডেভিড ওয়ার্নার এবং মিচেল মার্শকে। আর দুই ওভারে খরচ করলেন মাত্র ৮ রান। অন্যদিকে আজ অবশ্য নিজেকে কিছুটা সামলেছিলেন চাহারও। তিন ওভারে ১৭ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন একটি উইকেট। তবে অনেকেই মনে করছেন এবার হয়তো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চাহারের জায়গায় অশ্বিনের নামই তুলতে হবে খাতায়।
যদিও দল কি হবে তা জানা যাবে ২৪ অক্টোবরই, তবে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই যে তাতে রবীচন্দ্রন অশ্বিনের নাম না থাকলে ফের একবার বড্ড বেশি রকমই অবাক হতে হবে সকলকে। আরেকটি প্রশ্ন অবশ্যই থেকে যাচ্ছে, তা হল দলে কি আদৌ তিন স্পিনার খেলার কোন জায়গা রয়েছে? তা যদি হয় তাহলে অশ্বিন-জাদেজার সঙ্গী হতে পারেন বরুণ চক্রবর্তী। অন্যদিকে জোরে বোলিংয়ের দায়িত্ব সামলাতে দেখা যেতে পারে শামি এবং বুমরাহকে।